• ক্লাব ফুটবল
  • " />

     

    যে কুঁড়িগুলো ঝরে যায় ফুল হয়ে ওঠার আগেই। লা মাসিয়া সিরিজ। শেষ পর্ব

    যে কুঁড়িগুলো ঝরে যায় ফুল হয়ে ওঠার আগেই। লা মাসিয়া সিরিজ। শেষ পর্ব    

    লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, পেপ গার্দিওলা… কত কত রথী-মহারথী! কত ব্যালন ডি’ অর, কত ব্যক্তিগত পুরস্কার, কত ট্রফি, কত সাফল্য, কত হাসি-আনন্দ মেশানো কনফেত্তির ওড়াউড়ি! লা মাসিয়া মানেই যেন এক স্বপ্নরাজ্য! লা মাসিয়া মানেই শত-সহস্র শিশু-কিশোরের রঙিন দুনিয়ায় প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়ানোর দুর্নিবার স্বপ্ন!

    কিন্তু প্রদীপের নিচে তো অন্ধকারও থাকে। স্বপ্নের সাথে হাত ধরাধরি করে চলে স্বপ্নভঙ্গের প্রবল বেদনাও। নিজেদের প্রতিভা, পরিশ্রম আর দক্ষতায় মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তারা পৌঁছে যান সাফল্যের দ্বারে, কিন্তু সবাই তো মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তার পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেন না। কার্লেস অ্যালেনা, রিকি পুজ বা ইলাইশ মরিবাও হয়ে ওঠা হয় না অনেকের। এর আগেই হয়তো ঝরে যেতে হয় সেই ফুল হয়ে না ফুটতে পারা কুঁড়িগুলোকে। আর এই ঘটনাটা শুধু বার্সেলোনার লা মাসিয়া বা রিয়াল মাদ্রিদের লা ফ্যাব্রিকাতে নয়, ঘটে পৃথিবীর প্রায় সব ফুটবল একাডেমিতে।

    সেই ঝরে যাওয়া কুঁড়িগুলোর কথা কি মনে রাখে একাডেমিগুলো? কী হয় কুঁড়িগুলোর এই মন খারাপের গল্পের শেষ দৃশ্যে?

    Image Source: Shutterstock

    একটা গল্প বলা যাক।

    এই গল্পের মূল চরিত্রের নাম আলফি কেইন। জাতে ইংরেজ, থাকেন লন্ডনে। ছোটবেলা থেকেই চেলসির পাঁড় সমর্থক আলফি। চেলসির হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি, মনের গভীরে সুপ্ত ইচ্ছা ছিল নীল জার্সি পরে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ মাতানোর।

    স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পথেই ছিল ছেলেটা। আট বছর বয়সে চেলসিতে ট্রায়াল দিলেন তিনি। তাতেই বাজিমাত! আর্সেনাল ডেভেলপমেন্ট দলের বিপক্ষে এক ম্যাচে পাঁচ গোল করেন তিনি। আর যায় কোথায়! চেলসির একাডেমিতে সুযোগ পেয়ে গেলেন তিনি। শুরু হয়ে গেল আলফির স্বপ্নযাত্রা।

    কিন্তু স্বপ্নযাত্রাটা খুব বেশি স্থায়ী হলো না। একটা বেমক্কা সমস্যায় যেন এলোমেলো হয়ে আলফির পৃথিবীটা। এগারো বছর বয়সে শারীরিক সমস্যায় পড়লেন তিনি। চেলসির সাহায্যে সুস্থতা ফিরে পেলেন বটে, তবে ক্লাবে আর থাকা হলো না তাঁর। চেলসি ছেড়ে দিলো তাঁকে। আলফি খুঁজে নিলেন তাঁর নতুন ক্লাব, বার্নেট। 

    আলফি কেইন; Image Source: Collected

    কিন্তু বার্নেটেও বেশি দিন থাকা হলো না আলফির। আঠারো বছর বয়সে ক্লাব ছেড়ে দিলো তাঁকে। পরের ছয় মাস আলফি চেষ্টা করলেন নতুন ক্লাব খুঁজে নেওয়ার। পারলেন না। আলফি বুঝে গেলেন, তাঁর পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নটা আর কখনোই বাস্তবে রূপ নেবে না আর। এরপরই যেন পায়ের নিচের মাটি সরে গেল তাঁর, আর আলফি তলিয়ে গেলেন অথৈ সাগরে। 

    হতাশা ঘিরে ধরলো আলফিকে। যে ফুটবলের কারণে তিনি জগতের অনেক খারাপ ব্যাপার থেকে দূরে ছিলেন, সেই ফুটবলের সাথে বিচ্ছেদের পরই তাঁর সাথে পরিচয় ঘটলো একের পর এক বাজে অভ্যাসের। মদ্যপান তাঁর স্বভাবে ছিল না, কিন্তু ফুটবলের অভাবটা যেন তিনি পূরণ করতে চাইলেন মদিরার নেশায় চুর হয়ে। একই সাথে ভীষণ রগচটা হয়ে পড়েন তিনি। কথায় কথায় মেজাজ হারাতেন, হাতাহাতি-মারামারি করে বিপদে পড়তেন বারবার।

    একবার তো মারামারি করে গ্রেফতারও হলেন তিনি। এরপরই যেন বোধোদয় হলো তাঁর। বুঝলেন, ফুটবলবিহীন দুনিয়ায় তাঁকে বাঁচতে হবে নিজের মতো করে, নিজের রাস্তা ধরে।

    নাট্যকলা নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলেন তিনি। স্কুলে থাকতে এই বিষয়টা বেশ ভালো লাগতো তাঁর, সেই ভালো লাগাটা ফিরে এলো আবারও। এরপর শৈশবের আটজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করে লিখে ফেললেন একটা নাটক, “ড্রপড”। নিজের শৈশব-কৈশোরজীবনের অন্ধকার দিক, পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নটা ভেঙে যাওয়া, হতাশা, চাপ, পরিবার এবং সমাজের ভ্রুকুটি, বর্ণবাদ, সব কিছু তিনি ফুটিতে তুলতে থাকলেন একটা চরিত্রের মাধ্যমে। নিজের লেখা এই নাটকে তিনি একাই অভিনয় করেন, আর এভাবেই চেষ্টা করছেন ধীরে ধীরে নিজের জীবনের রাস্তা খুঁজে নেওয়ার।

    ড্রপড নাটকের পোস্টার; Image Source: Collected

    পঁচিশ বছর বয়সী আলফির মধ্যে এখনো প্রায়ই জেঁকে বসে হতাশা। প্রতিনিয়ত এই হতাশা থেকে মুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি, কিন্তু সেই মুক্তির স্বাদ কবে আস্বাদন করতে পারবেন, কে জানে!

    তবে একাডেমির খেলোয়াড়দের জন্য খেলাধুলার পাশাপাশি পড়ালেখার গুরুত্বও এখন বুঝতে পারছেন আলফি। নিজে একাডেমিতে থাকা অবস্থায় স্পোর্টস সায়েন্সে পড়ালেখা করতে হতো তাঁকে, যদিও বিষয়টাতে একেবারেই ‘ইন্টারেস্ট’ পেতেন না তিনি। তাই তাঁর মতে, একাডেমির খেলোয়াড়দের আরো অনেক বিষয়ে পড়ালেখার সুযোগ দেওয়া উচিত, যেন কোনো কারণে পেশাদার ফুটবলার হতে না পারলেও ক্যারিয়ারে অন্য বিকল্প থাকে। 

    এছাড়াও আলফির চাওয়া, যেন একাডেমি থেকে রিলিজ দেওয়ার পরও পুরোনো ক্লাব থেকে খেলোয়াড়দের নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হয়। ফুটবল খেলতে চাওয়া পুরুষদের যে অনেক ক্ষেত্রেই ‘গ্ল্যাডিয়েটর’ ধরনের মনে করা হয়, সব সমস্যার বিপক্ষে সর্বজয়ী বলে ধারণা করা হয়, এমন চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন।

    কিন্তু এত কিছুর পরও, ফুটবলার হতে চাওয়ার সেই ইচ্ছার জন্য দুঃখিত নন আলফি। ফুটবলার হতে পারেননি সত্যি, কিন্তু ফুটবল তাঁকে চিনিয়েছে জীবনের আরো একটি দিক। ফুটবল তাঁকে বাস্তব জীবনের সমস্যার মুখোমুখি হয়ে জিতে আসতে শিখিয়েছে। তাই তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও, ফুটবল থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাগুলো রয়ে গেছে তাঁর জীবনের চলার পাথেয় হিসেবে।

    আলফি তবুও হয়তো এখন কিছু করে চালিয়ে নিচ্ছেন নিজের জীবনকে। কিন্তু সেই ভাগ্য সবার ক্ষেত্রে জোটে না। আরো একটা গল্প বলা যাক।

    এই গল্পের মূল চরিত্রের নাম টম হ্যামিল্টন। মানুষটার বর্তমান বয়স ৩৪। তবে নিজের টিনেজ বয়সের পুরোটাই তিনি দিয়েছিলেন ব্রিস্টল সিটি একাডেমিকে। কিন্তু পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নটা তাঁর ক্ষেত্রেও বাস্তবে পরিণত হয়নি। একটা বড় চোটে পড়ার পর তাঁকে আর একাডেমিতে রাখতে চায়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

    অর্থবিত্ত, খ্যাতি, সম্মান, প্রতিপত্তির আশায় ফুটবলার হতে চাওয়া টমের জীবনে সেটি ছিল একটা বড় ধাক্কা। কিন্তু ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নটা ভেঙে গেলেও ওই প্রতিপত্তিময় জীবনের ইচ্ছাটা তখনও ছিল জীবন্ত, আর সেজন্য টম নেমে যান জীবনের অন্ধকার গলি ধরে।

    “একজন ফুটবলার যেমন জীবন কাটান, তেমন একটা জীবন কাটানোর স্বপ্ন ছিল আমার। ১৮-১৯ বছর বয়সেও আমি টাকা, সম্মান আর তেমন লাইফস্টাইল চেয়েছি,” টম বলেন, “ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নটা ভেঙে যাওয়ার পর আমি কিছু মানুষের খোঁজ পেলাম, যারা মাদকদ্রব্য বিক্রি করে বেশ অর্থবিত্ত লাভ করেছিল।”

    টম হ্যামিল্টন; Image Source: Sky Sports

    এরপর মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে গিয়ে কোকেনসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন টম। আট মাস তাঁকে যুব সংশোধনাগারে কাটাতে হয়। তখনই বোধোদয় হয় তাঁর।

    “আমি যখন ব্রিস্টল সিটির একাডেমিতে ছিলাম, আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে গর্ব করতেন। কিন্তু সেই আমিই কিনা মাদক বিক্রি করে পরিবারের মুখে চুনকালি মেখে দিলাম। পুলিশ স্টেশন থেকে যখন বাবা-মাকে ফোন করে আমাকে গ্রেফতারের জানানো হয়, তাঁদের লজ্জার কথা ভেবে আমার নিজেরই তীব্র লজ্জা হচ্ছিল।”

    এরপর থেকেই শুরু হয় সংশোধনের প্রক্তিয়া। স্পোর্টিং চান্স ক্লিনিকে থেরাপিস্টের কাছে নিয়মিত যেতে হতো তাঁকে। সেখানে নিজের জীবনের গল্প বলেন টম, কথা বলেন চোটে পড়ে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া নিয়ে। বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়তেন, এরপর থেরাপিস্টের কথায় যেন নিজেকে চিনতে শুরু করেন নতুনভাবে।

    “আসলে আমার পুরো পৃথিবীটাই ছিল ফুটবলকে ঘিরে,” টম বলেন, “ফুটবল দিয়েই আমি বিখ্যাত হতে চেয়েছিলাম, ফুটবলের কারণেই মানুষ আমাকে ভালোবেসেছে। একাডেমিতে আমার অনেক ভালো বন্ধুও হয়েছিল। তারাও আমার মতোই, হয়তো ফুটবলার হতে পারেনি, কিন্তু ইচ্ছাটা পোষণ করতো পুরোদমে।”

    জীবনের এই পর্যায়ে, টম এখন একজন ফিটনেস কোচ এবং পরামর্শক। পেশাদার ফুটবলার হতে না পারা একাডেমির খেলোয়াড়দের মানসিক সাহায্যও দিয়ে থাকেন তিনি।

    বলা যেতে পারে, কঠিন একটা পর্যায় পার করার পর টম অবশেষে একটা স্থিতিশীল জীবন পেয়েছেন। কিন্তু একটা স্থিতিশীল জীবন তো জেরেমি উইস্টেনেরও প্রাপ্য ছিল।

    পেশাদার ফুটবলের জগতে পা রাখার স্বপ্ন নিয়েই ম্যানচেস্টার সিটির একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন জেরেমি। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৩ পর্যায়ে সিটির এলিট স্কোয়াড দিয়েই একাডেমিতে তাঁর যাত্রা শুরু, কিন্তু মাত্র তিন বছর যেতে না যেতেই সেই যাত্রায় পড়লো বিরতি। একটা বড় চোটে পড়লেন জেরেমি, ২০১৯ সালের মে মাসে তাঁকে রিলিজ করে দিলো ক্লাব।

    এই ঘটনায় একেবারে ভেঙে পড়েন আঠারো বছর বয়সী জেরেমি। নিজের চোট, ক্লাব থেকে রিলিজ, ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া… এতগুলো দুঃসংবাদ নিতে পারেননি এই কিশোর। ২০২০ সালের অক্টোবরে নিজের বেডরুমে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

    হতাশায় আত্মহুতি দেন জেরেমি; Image Source: Splash News

    প্রিয় ফুটবল ক্লাবের একাডেমিতে যোগ দিলে সবাই মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তা বা লামিন-কুবারসি হয়ে উঠতে পারেন না। অনেকের কপালে জীবন সেঁটে দেয় আলফি কেইন, টম হ্যামিল্টন বা জেরেমি উইস্টেনের ভাগ্যটাও!

    স্কাই স্পোর্টসের এক হিসাবে দেখা গিয়েছিল, একই সাথে শুধু প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর একাডেমিতেই ভর্তি থাকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছেলে। প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম অনুসারে প্রতিটা ক্লাব তাদের একাডেমিতে ২৫০ জন শিশু-কিশোরকে ভর্তি করতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, হয়তো ০.৫ শতাংশেরও কম শিশু-কিশোর হয়ে উঠতে পারে পেশাদার ফুটবলার। 

    কিন্তু বাকি শিশু-কিশোররাও তো তাদের শৈশব আর কৈশোরকে উৎসর্গ করেছিল ফুটবলের জন্য। হয়তো অনেকেই ফুটবলকে ধ্যানজ্ঞান করে নিয়েছিল, সাধারণ পড়ালেখা বা ডিগ্রি অর্জনেও ততটা মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি। অনেকের আবার স্বপ্ন থাকলেও সেই অনুপাতে প্রতিভা বা দক্ষতা থাকে না। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই আঘাতটা হানে একটা বড় চোট। ক্লাবগুলোও এই সবক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে, এবং অপেক্ষাকৃত যোগ্য কাউকে সুযোগ দেওয়ার জন্য রিলিজ করে দিতে বাধ্য হয় ওই স্বপ্নবাজ তরুণকে।

    Image Source: Shutterstock

    কিন্তু ফুটবলকে জীবনের প্রতিশব্দ করে নেওয়া সেই তরুণের কী হয়? ফুটবলকে জীবিকার উপায় হিসেবে বেছে নিতে চাওয়া এই তরুণরা সাধারণত ডুবে যান আকণ্ঠ হতাশায়। পড়ালেখা বা অন্যান্য দক্ষতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় যেটা, সেই কৈশোরই এই খেলোয়াড়রা বিনিয়োগ করেন ফুটবলের জন্য। তাই ফুটবল যখন তাদের হতাশ করে, তখন অন্য রাস্তা খুঁজতে অনেক বেশি বেগ পেতে হয় তাদের। এসময়ে অনেকেই বিপথে চলে যান, অনেকেই আর ফিরতে পারেন না সুস্থ জীবনে, অনেকেরই প্রয়োজন্য হয় মানসিক চিকিৎসার। আর সবচেয়ে বড় কথা, ফুল না হতে পেরে এই ঝরে যাওয়া কুঁড়িগুলোকে কেউ মনে রাখে না, এদের নাম-পরিচয়ও থেকে যায় সবার চোখের আড়ালে।

    বার্সেলোনার ‘লা মাসিয়া’, রিয়াল মাদ্রিদের ‘লা ফ্যাব্রিকা’সহ ইউরোপের ক্লাবগুলোর একাডেমির শোকেসে যেমন শোভা পায় বড় বড় সোনালি-রুপোলি ট্রফি, দেয়ালে যেমন ফ্রেম আকারে বাঁধানো থাকে অনেক অনেক অর্জন, মাঠ আর ড্রেসিংরুম যেমন মেতে থাকে শিশু-কিশোরদের আনন্দ-উৎসাহে-উদ্দীপনায়, তেমনি মুদ্রার উল্টোপিঠে, একই একাডেমির অন্ধকার কোণে কান পাতলে শোনা যায় পেশাদার ফুটবলার হতে না পারা ব্যর্থ ফুটবলারদের কান্নাও!