মেসির জন্য রাজপথে আর্জেন্টাইনরা
টানা তিনটি ফাইনালে হারের পর জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন- এ খবর পুরনোই হয়ে গেছে। দেশের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে সাবেক কিংবদন্তী ম্যারাডোনা সে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন- নতুন নয় এ খবরও। তাই বলে লিওনেল মেসিকে দলে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা গণমাধ্যমের আড়াল হতে দিচ্ছেন না আর্জেন্টিনার জনগণ। রাজপথে অব্যাহত উপস্থিতিতে প্রজন্মের প্রিয় ফুটবলারের কাছে তাঁরা আকুতি জানিয়ে চলেছেন, মান ভেঙে দলে ফিরে আসার জন্য।
বুয়েন্স আয়ার্সের সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ের ওবেলিস্কো ভাস্কর্যের সামনে লোকসমাগমটা হয় মূলত আর্জেন্টিনার উৎসবের উপলক্ষগুলো উদযাপনেই। শিরোপা না হোক, গত ক’ বছরে আলবিসেলস্তেদের উৎসব করার উপলক্ষগুলো তো তিনিই এনে দিয়েছেন। সেই মেসিই যখন চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেছেন, ওবেলিস্কোর চত্বর থেকে জোর আবেদন উঠছে সে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার। শনিবার মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অগুনিত ভক্ত-অনুরাগী সেখানে জড়ো হয়েছিলেন মেসির কাছে আর্জি রাখতে।
মেসিকে নানা বিশেষণে ভূষিত করে বানানো ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে যায় ওবেলিস্কোর বৃষ্টিস্নাত বিকেল। বিষণ্ণ বাতাসে আলোড়ন তোলে মুহুর্মুহু স্লোগান, ‘মেসি, চলে যেও না’। স্যান্টিয়াগো বোরডেরো নামের এক ভক্ত বলছিলেন কেন কাকভেজা হয়ে মিছিলে শামিল হয়েছেন, “বলা হয়, প্রতি ৫০ কোটি বছরে একজন মেসি আসে। এমন একজনের সময়ে আমরা বেঁচে আছি, এজন্য তো আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ।”
আরেক ভক্তের স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ব্যানারের ভাষ্য, “মেসি তুমি যদি স্বর্গে খেলতে, আমি তাহলে মরে গিয়ে সেখানে থাকতাম তোমার খেলা দেখার জন্য।”
হুয়ান আলবার্তো সালাস বেশ জোর গলায় বলছিলেন, মেসিকে ফিরে আসতেই হবে, “আবেগ ক্ষমা করবেন, কিন্তু এই মুহুর্তে আমি অন্যকিছু ভাবতে পারছি না। আমার কাছে সে একেবারেই আলাদা, একজন ঈশ্বর।”
কোপা আমেরিকা শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে কিছুদিন নিজ শহর রোজারিওতে কাটান মেসি। সেখানে থেকে বর্তমানে তিনি বাহামায় অবস্থান করছেন ছুটি কাটাতে। এতো এতো অনুরোধ-আবেদন-আকুতির জবাবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া আসে নি মেসির তরফে।