• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    বুফনের ভুলের সুযোগ নিতে পারল না স্পেন

    বুফনের ভুলের সুযোগ নিতে পারল না স্পেন    

    সেই ২০০৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কোনো ম্যাচ হারেনি ইতালি। আরেকটুর জন্য সেই রেকর্ড ভেস্তেই যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটি আর হলো না, পিছিয়ে পড়েও নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করল আজ্জুরিরা। ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ডে ওই পরাজয়ের প্রতিশোধও নেওয়া হলো না স্পেনের। 


    ড্রয়ের পর সবচেয়ে বড় স্বস্তির নিঃশ্বাসটা জিয়ানলুইজি বুফনেরই নেওয়ার কথা। আরেকটু হলেই তাঁর ভুলেই যে ইতালির ১০ বছরের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল। আজ যা করেছেন, ক্যারিয়ারে এরকম ভুল বুফন আর করেছেন কি না সন্দেহ। গোললাইন ছেড়ে অনেকটা বেরিয়ে এসে একটা বল ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পায়ের ফাঁক গলে সেটি গিয়ে পড়ে স্পেনের স্ট্রাইকার ভিতোলোর পায়ে। চাইলেও সুযোগটা নষ্ট করা কঠিন ছিল ভিতোলোর জন্য। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি। 

     

     


    কিন্তু ইতালি শেষ পর্যন্ত ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৮১ মিনিটে এদেরকে বক্সে ফেলে দিয়েছিলেন সার্জিও রামোস। শুরুতে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি না বাজালেও সহকারী রেফারির জন্য পরে সিদ্ধান্তটা পরিবর্তন করেন। স্পটকিক থেকে গোল করে সমতা ফিরিয়েছেন ড্যানিয়েলে ডি রসি। রামোস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখতে পারেন, তবে ওই যাত্রা বেঁচে গেছেন।


    দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখতে পারতেন ডিয়েগো কস্তাও। ৪৫ মিনিটেই কনুই দিয়ে মারার জন্য প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। পরে অফসাইডের বাঁশি শোনার পরও বলে লাথি মারায় আরেকটি কার্ড দেখতেই পারতেন। তবে রেফারি সেটি আর দেখাননি, স্পেনের কোচ লোপেতেগুইও সাথে সাথেই তুলে নিয়েছেন কস্তাকে। 


    অথচ প্রথমার্ধে ইতালি গোলে একটা শটও নিতে পারেনি, বল দখলেও ছিল ২৮ শতাংশ। বদলি হিসেবে ইম্মোবিলে, বেলোত্তিরা নামার পর দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের ফিরে পায়। শেষ পর্যন্ত তাই ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে।