• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    ইংল্যান্ডেও ব্রাত্য রুনি

    ইংল্যান্ডেও ব্রাত্য রুনি    

    গত শনিবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলেছেন ওয়েইন রুনি। মাল্টার বিপক্ষে ইংল্যান্ডও জিতেছে ২-০ গোলে। কিন্তু ৩০ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ডের খেলায় মন ভরেনি সমর্থকদের। ফলে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুটেছে দুয়োধ্বনি। সবকিছু মিলিয়েই হয়তো মঙ্গলবারে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের মূল একাদশ থেকে রুনিকে বাদ দিয়েছেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।

     



     

    আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ম্যাচে ওয়েইন রুনির বয়স ছিল মাত্র ১৭। জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত খেলেছেন ১১৭টি ম্যাচ। করেছেন ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫৩ গোল। কিন্তু সময় তো সবসময় একই রকম যায় না। বয়স বেড়েছে। কমেছে প্রতিপক্ষের গোলমুখের সামনে সেই ক্ষিপ্রতা। সমর্থকদের এক সময়ের নয়নের মণি রুনি আজ কালের ধূলোয় মলিন, কপালে জুটছে তাই বিস্তর গালমন্দ। জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডকে একাদশ থেকে তাই ছেঁটে ফেলতে অতো চিন্তা করতে হয়নি কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে।

    ক্লাব ও দেশের হয়ে এই মৌসুমে ১২ ম্যাচে করেছেন মাত্র এক গোল। তারপরও রুনির প্রতি দর্শকদের দুয়ো বর্ষণ বিস্মিত করেছে সতীর্থদের। দর্শকদের বাড়াবাড়িতে বিরক্ত ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার জন স্টোনস বলেছেন, “প্রতি ম্যাচেই সে সামর্থ্যের ১১০ শতাংশ দেয়। ওর খেলা দেখলেই সেটা বোঝা যায়। ওর প্রতি দুয়ো শুনে আমি হতভম্ব।”

    আরেক সতীর্থ জর্ডান হেন্ডারসনও এসে দাঁড়িয়েছেন অধিনায়ক রুনির পাশে, “সে আমাদের অধিনায়ক ও নেতা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ড দুই দলের হয়েই সে দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়।” সতীর্থরা তো বটেই খোদ কোচও ব্যাপারটা নিয়ে তাঁর বিরক্তি ঢাকতে পারেননি। রুনির প্রতি কটাক্ষগুলো অনেক সময়ই ‘অযৌক্তিক ছিল’ বলে মনে করেন গ্যারেথ সাউথগেট।

    রুনির অবর্তমানে মাঠে ইংল্যান্ডকে কে নেতৃত্ব দেবেন সেটা আজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেবেন কোচ।