• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চেলসি-ভক্তদের নিয়ে ভাবছেনই না মরিনহো

    চেলসি-ভক্তদের নিয়ে ভাবছেনই না মরিনহো    

    চেলসির কোচ ছিলেন দুই দফায়। কিন্তু কোনোবারই বিদায়টা সুখকর হয়নি। আগামীকাল হোসে মরিনহো ফিরছেন সেই চিরচেনা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। কিন্তু পুরনো ঠিকানায় চেলসি ভক্তদের অভ্যর্থনাটা কেমন হবে? তারা কী  তাঁদের ‘স্পেশাল ওয়ান’ কে সাদরে আমন্ত্রণ জানাবে, নাকি প্রতিপক্ষের কোচ হিসাবে দুয়োধ্বনি শুনতে হবে? মরিনহো কিন্তু এসব নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না! খেলার দিকেই তার সব মনোযোগ থাকবে বলেই জানালেন ইউনাইটেড কোচ।

     

    যেই মাঠ তাঁকে এতকিছু দিয়েছে, সেখানকার দর্শকের আচরণ কেমন হবে? এই চিন্তাটা মাথাতেই আনছেন না মরিনহো, “আমি এসব নিয়ে খুব একটা ভাবিনা। সত্যি বলতে যখন আমি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত থাকি তখন এসব নিয়ে একেবারেই ভাবিনা। খেলা নিয়েই আমার সব ভাবনা। ম্যাচের আগে নিজেকে তৈরি করা নিয়েই পরিকল্পনা করি।”

     

    চেলসি ভক্তদের কাছে খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই এই পর্তুগিজের, “আসলে জানি না তাঁদের থেকে কী আশা করা যায়! তাঁরা আমাদের মধুর সম্পর্কটা স্মরণ করে ভালো ব্যবহার করতে পারে। আবার তাঁরা এটাও ভাবতে পারে, ‘এই ৯০ মিনিটের জন্য সে ইউনাইটেডের কোচ, আমাদের বিপক্ষে খেলছে। তাই তাঁকে এই মুহূর্তে পছন্দ করার কোন কারণ নেই!’”

     

    গতবছর মৌসুমের মাঝপথেই বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন বলেই জানান মরিনহো, “কিছু কোচ আছে যারা ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার পর পুরনো তিক্ততা নিয়ে কথা বলতেই থাকেন। আমি এরকম না। আমি ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার সময় সুখস্মৃতি নিয়েই বিদায় বলি। আমি ভাবি ক্লাবকে সবকিছুই দিয়েছি, খারাপ ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করিনা। চেলসিতে আমি অনেক ভালো মৌসুম কাটিয়েছি। অনেক বন্ধু আছে এখানে আমার, সমর্থকদের সাথেও দারুণ একটা সম্পর্ক ছিল এখানে।”

     

    মাঝেসাঝেই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হন। তবে এবার নিজেকে সামলানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন, “যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন দল গোল করলে বাচ্চাদের মতো উদযাপন করব কি না, তাহলে আমি জানিয়ে রাখতে চাই এরকম কিছুই হবে না। আমি যথেষ্ট পরিপক্ক হয়েছি এসব ব্যাপারে।  দর্শকের নেতিবাচক মন্তব্য করার কোনো সুযোগই দেবনা।”