দুই বছর নিষিদ্ধ রাসেল?
অভিযোগটা উঠেছিল আগের বছরেই। 'লাপাত্তা' হয়ে নিষিদ্ধ বস্তু সেবন করেছেন, এরকম সন্দেহের তীর ছোঁড়া হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের দিকে। আজ কিংস্টনে রাসেলের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগের চূড়ান্ত রায় শোনানো হবে। যদি রায়টা রাসেলের বিপক্ষে যায়, তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।
নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা মাথায় নিয়েই গত এক বছর খেলে যাচ্ছেন। তবে এখন নিষেধাজ্ঞার ভয়টা ঘিরে ধরেছে রাসেলকে, “ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ওই চিন্তাটাও মাথায় কাজ করতো। শেষ পর্যন্ত আপনার হাতে কিছুই নেই। আমার মাথার উপরে শঙ্কার কালো মেঘ ছেয়ে রয়েছে। যদি সত্যি সত্যিই আমি নিষিদ্ধ হই তাহলে তিন সংস্করণ থেকেই দূরে থাকতে হবে।”
জ্যামাইকা অ্যান্টি-ডোপিং কমিশন জানিয়েছে, ২০১৫ সালের পহেলা জানুয়ারি, পহেলা জুলাই এবং ২৫ জুলাই রাসেল কোথায় ছিলেন সেটা তাঁদেরকে জানাননি। তাঁকে কয়েকবার ফোন, মেইল ও চিঠি দিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে রাসেল তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, ব্যস্ত ক্রিকেটসূচির জন্যই ঠিকভাবে রিপোর্ট দিতে পারেননি।
হুগ ফকনার, ড. মারজরি ভ্যাসেল এবং ডিজেথ পালমারের সমন্বয়ে গড়া তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রাসেলের পুরো ব্যাপারটি তদারকি করছেন। এক বছর ধরে চলা এই মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল গত ডিসেম্বরে। তবে রায়ের দিন পিছিয়ে জানুয়ারির ৩১ তারিখে নেওয়া হয়েছিল। মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন ছিল বলেই মানছেন রাসেল, “আমি সবসময়ই দলের সবাইকে বলেছি, আমার জন্য প্রার্থনা করতে। আমি নিজেও সেটাই করছি। আমার আইনজীবীদের ওপর আমার ভরসা আছে। তাঁরা খুব যত্নের সাথেই ব্যাপারটা সামলেছেন।”
আজকেই জানা যাবে রাসেলের ভবিষ্যৎ। রাসেল মনে করেন, নিষিদ্ধ হলে তাঁর ভক্তরা হতাশই হবেন, “আমি ইতিবাচকই ভাবছি। ক্রিকেট ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি না। আমার অনেক ভক্ত আছে, যদি এরকম কিছু হয় তাহলে তাঁরা খুবই হতাশ হবেন। আমিও কম কষ্ট পাবো না। ব্যাপারটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, আমি শুধু প্রার্থনাই করতে পারি ঈশ্বরের কাছে। এখন শুধু রায়ের অপেক্ষায় আছি।”