• " />

     

    টেস্ট স্ট্যাটাস পাচ্ছে আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান?

    টেস্ট স্ট্যাটাস পাচ্ছে আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান?    

    দাবিটা বেশ পুরনো। ক্রিকেটের বিশ্বায়নের জন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি উঠেছিলো বিভিন্ন মহল থেকেই। কিন্তু নানান অজুহাত দেখিয়ে ব্যাপারটি নাকচ করে দিয়েছে আইসিসি। তবে এবার বোধহয় সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছে তাঁরা। খুব সম্ভবত টেস্ট অঙ্গনে পা রাখতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান। আইসিসির আগামী সভায় এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

    সহযোগী দেশগুলোকে ক্রিকেটের সাথে আরও বেশি সংযুক্ত করার প্রস্তাবটা দীর্ঘদিনের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইভেন্টে তুলনামূলক ‘ছোট’ দলগুলো গত কয়েক বছরে দারুণ পারফর্ম করছে। তাঁদের মাঝে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুটি দলের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার দাবিটা অনুচ্চারে থেকেই একটু একটু করে সশব্দে শুরু করেছে। 

    এরই মাঝে আয়ারল্যান্ডের ইন্টার-প্রোভিন্সিয়াল চ্যাম্পিয়নশিপকে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আফগানদের ঘরোয়া লিগকেও প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যদিও এই ব্যাপারটা পরবর্তী সভায় আবারো পরীক্ষা নিরক্ষা করবেন আইসিসির কর্মকর্তারা।  আফগানিস্তানের বোর্ড সভাপতি আতিক মাশাল নিজেদের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী, “ আমরা টেস্ট স্ট্যাটাসের জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করেছি, তাঁরা ফেব্রুয়ারিতেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানিয়েছেন। তাঁদের সাথে আমাদের বৈঠকটা দারুণ ইতিবাচক ছিল। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও জাতীয় দলের অগ্রগতি দেখে তাঁরা খুশি। আমাদের তারুণ্যনির্ভর দল ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করবে। আমরা সহযোগী সদস্য থেকে পূর্ণ সদস্য হতে প্রস্তুত।”

     


     

    অন্যদিকে কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা আইরিশদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বগামীই বলা চলে। ২০০৭ বিশকাপে পাকিস্তানের সাথে চমক দেখানো দলটি পরবর্তী সব বিশ্বকাপেই ভালো খেলেছে। নিজেদের শেষ ১২ ম্যাচে তাঁরা অপরাজিত আছে।

    তবে আইসিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ শেষ হওয়ার আগে এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে আইসিসি, “আইসিসির সভার অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু হবে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সদস্যসংখ্যা বাড়ানো। তবে আমার মনে হয় না চলমান  ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইসিসি এই ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”