বড় ক্লাবগুলো নিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ?
বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া লিগেই কর্তৃপক্ষের সাথে বড় দলগুলোর তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে নানা কারণে। সে জায়গা থেকে ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোকে নিয়ে আলাদা করে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর পরিকল্পনাটাও অনেকদিনের পুরনো। তবে নতুন করে ওঠা গুঞ্জন বলছে, এবার সত্যি সত্যিই এমন উদ্যোগ আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠছে।
ইউরোপের নামী লিগগুলোর মধ্যে লা লিগাতেই কর্তৃপক্ষের সাথে বড় দলগুলোর দূরত্ব তৈরির বিষয়টি সবচেয়ে বেশী স্পষ্ট। বিশেষ করে লিগটির জনপ্রিয়তম দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা দু’ দলই এ ধরণের উদ্যোগ বাস্তবায়নে একইরকম আগ্রহী। সম্প্রতি লা লিগার এক ম্যাচে বার্সেলোনাকে ‘নায্য’ গোল থেকে বঞ্চিত করা এবং সেল্টা-রিয়াল ম্যাচ দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার জন্য বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই স্থগিত করে দেয়াসহ নানা বিষয়ে লিগ কর্তৃপক্ষের ওপর নাখোশ ক্লাবদুটো। এছাড়াও লা লিগার উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন সময় বড় ক্লাবগুলোর তরফে ওঠা প্রস্তাব সেভাবে আমলে নেন নি টুর্নামেন্টটির প্রধান হাভিয়ের তেবাস। আর তাতেও অবনতি হয়েছে কর্তৃপক্ষের সাথে ক্লাবগুলোর সম্পর্কের।
ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর পরিকল্পনা চলছে মূলত ১৯৯৮ সাল থেকেই। তবে উয়েফার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলোর সাথে উদ্যোক্তাদের মতের অমিলের কারণে এখনও সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে নি। এমন কিছু হলে ঘরোয়া লিগগুলো কীভাবে চালানো হবে, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটাই। কেউ কেউ ঘরোয়া লিগ নিয়ে আর মাথা ঘামাতে আগ্রহী না হলেও অনেকের চাওয়া সুপার লিগ আর ঘরোয়া লিগ দুটোই চলুক প্রতিযোগিতামূলকভাবে।
এছাড়া লিগ ফরম্যাট আর সূচি নিয়েও চিন্তাভাবনার অনেক অবকাশ রয়ে যাচ্ছে। ক'টি দল থাকবে, কোন ফরম্যাটে খেলা হবে- রয়েছে এমন অনেক প্রশ্নই। সবচেয়ে বেশী সম্ভাব্য প্রস্তাব অনুসারে ১৬টি দল ৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে লিগে অংশ নিতে পারে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ ৪ দল পরস্পরের সাথে খেলবে। গ্রুপগুলো নির্ধারণ করা হতে পারে ক্লাবগুলোর ভোগৌলিকভাবে অবস্থান বা শক্তিমত্তার বিচারে।
পুরো উদ্যোগটাই নেয়া হচ্ছে বেশ গোপনীয়তার সাথে। বিভিন্ন দেশের লিগ কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে ঘরোয়া লিগে জায়গা হারানোর ভয় থেকেই এমন রাখঢাক। এ ব্যাপারে কোনোকিছুই প্রকাশ্যে জানানো হচ্ছে না উদ্যোক্তাদের তরফে। তবে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের খবর অনুযায়ী সুপার লিগের সম্ভাব্য দলগুলো হতে পারেঃ লা লিগা থেকে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়া; প্রিমিয়ার লিগ থেকে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল ও লিভারপুল; সিরি আ থেকে জুভেন্টাস, এসি মিলান, ইন্টারমিলান ও নাপোলি; বুন্দেসলিগা থেকে বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও বেয়ার লেভারকুসেন এবং লিগ ওয়ান থেকে পিএসজি, মার্সেই ও লিয়ন।
[সূত্রঃ মার্কা]