ড্রয়ের বৃত্ত থেকে বেরুল ম্যান ইউনাইটেড
ওল্ড ট্রাফোর্ডে জিততে হিমশিম খেতে হলেও অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যেন অন্যরকমই। শেষ আট ম্যাচের ছয়টিতে জয়; ড্র দুটিতে। আজকের পর জয়ের সংখ্যাটা বাড়ল আরও। স্টেডিয়াম অফ লাইটে সান্ডারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে মরিনহোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
প্রতিপক্ষ সান্ডারল্যান্ডের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। নিজেদের মাঠে শেষ ছয় ম্যাচে জয় নেই একটিও; এর ভেতর চারটি ম্যাচেই গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। আজকের ম্যাচের পর এই নিয়ে ৬৭৫ মিনিট জালের ঠিকানা খুঁজে পেল না ডেভিড ময়েসের দল।
২০ তম দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে 'অন্যরকম' এক দল নামিয়ে চমকই দিয়েছিলেন মরিনহো। প্রায় দেড় বছর প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে ইউনাইটেডের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পড়েছিল সার্জিও রোমেরোর ওপর। ইব্রাহিমোভিচ, পগবারা ছিলেন- তবে দলের অধিনায়ক ছিলেন মারুয়ানে ফেলাইনি!
অন্যরকম দল নামিয়েও অবশ্য ডেভিড ময়েসের দলের বিপক্ষে জিততে অসুবিধা হয়নি রেড ডেভিলদের। এই ম্যাচেও গোল করেছেন ইব্রাহিমোভিচ। শেষ গোলের অ্যাসিস্টও তার। মূলত ইব্রাহিমোভিচই আরও একবার ইউনাইটেডের জয়ের নায়ক।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে সান্ডারল্যান্ডের দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে দারুণ এক গোল করেন ইব্রাহিমোভিচ। গোলের জন্য যেন ইব্রার দিকেই তাকিয়ে ছিল ইউনাইটেড। শেষ আট প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচে ইব্রার নবম গোল ছিল এটি। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ৪৩ মিনিটে ম্যাচ আরও কঠিন হয়ে যায় সান্ডারল্যান্ডের জন্য। সেবাস্তিয়ান লারসন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৪৫ সেকেন্ডেই আরও এক গোল হজম করে ম্যাচে ফেরার সব সম্ভাবনাই শেষ হয়ে যায় সান্ডারল্যান্ডের। হেনরিখ মিখিতারিয়ানের গোলে দুই গোলের লিড নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচ শেষের এক মিনিট বাকি থাকতে ইব্রাহিমোভিচের পাস থেকে গোল করে ইউনাইটেডের সহজ জয় নিশ্চিত করেন বদলি র্যাশফোর্ড।