'মানকাড' আউটের নাম পরিবর্তন চান গাভাস্কার
ক্রিকেটীয় আইনে সিদ্ধ একটি ‘ডিসমিসাল’, অথচ সেটা করাটাকে বিবেচনা করা হয় ‘অখেলোয়াড়সুলভ’ আচরণ হিসেবে। বিতর্কিত ‘মানকাড’ আউটের নামকরণেও যেন যিনি আউটটা করছেন তাঁকেই হেয় করার চেষ্টা। অথচ যিনি আউট হচ্ছেন, দায়টা মূলত তাঁরই এবং আউটটির নামকরণেও সেটাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত- এমনটাই মনে করছেন কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।
নন-স্ট্রাইকে থাকা একজন ব্যাটসম্যান যদি বোলার বল করার আগেই দাগ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, তাহলে বোলার বল না করে নন-স্ট্রাইকের স্ট্যাম্প ভেঙে তাঁকে রান আউট করতে পারেন। ক্রিকেটে এই ডিসমিসালটি ‘মানকাডিং’ নামে পরিচিত। আর এই নামকরণটি করা হয় কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার ভিনু মানকড়ের নামে। ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরকালে মানকড় দু’ দফায় অজি ব্যাটসম্যান বিল ব্রাউনকে এভাবে আউট করেছিলেন। যদিও আউট করার আগে মানকড় ব্রাউনকে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন।
পরবর্তীতে ব্রাউন এবং অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন অধিনায়ক স্যার ডন ব্র্যাডম্যান দু’জনেই মানকড়কে সমর্থন করলেও অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম এমন আচরণের জন্য ভারতীয় অলরাউন্ডারকে ধুয়ে দেয়। এরপর ডিসমিসালটির নামই হয়ে যায় তাঁর নামে, ‘মানকাড’।
কিন্তু সেটা এই ক্রিকেটারের প্রতি চরম অসম্মান বলেই মনে করছেন গাভাস্কার, “এ ব্যাপারে আমার তীব্র আপত্তি আছে কারণ এটা ভারতের একজন কিংবদন্তী ক্রিকেটারকে বাজেভাবে উপস্থাপন করে যিনি কিনা ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন।”
গাভাস্কার মনে করেন নামকরণটা বরং ব্যাটসম্যানের নামেই হওয়া উচিত, “এখানে যদি কারও প্রতি ইঙ্গিত করতে হয় তাহলে সেটা নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানকে করা উচিত। কারণ মানকড় তাঁকে দু’বার নিষেধ করার পরও তিনি সেটা শোনেন নি, তৃতীয়বারে গিয়ে মানকড় নিরুপায় হয়েই তাঁকে আউট করেন। আমি মনে করি আউটটার নাম হওয়া উচিত ‘ব্রাউনড’। কারণ এটা ব্রাউনের ভুল ছিল, মানকড়ের নয়।”