উইন্ডিজের ওয়ানডে দলেও ফিরছেন গেইল-ব্রাভোরা?
ক্যারিবীয় ক্রিকেটে যেন ফিরছে স্বস্তির ছায়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দলে ফিরতে পারেন ক্রিস গেইল, সুনীল নারাইন, কাইরন পোলার্ড, ড্যারেন ব্রাভো, ডোয়াইন ব্রাভোরা। বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে কথাবার্তা এগিয়েছে অনেকদূর, নমনীয় হয়েছে দুই পক্ষই। ড্যারেন ব্রাভোর ব্যাপারেও সমঝোতাই পৌঁছাচ্ছে দুই পক্ষই।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের নীতি ছিল, কোনও ফরম্যাটের আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে না খেললে সে ফরম্যাটের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তাকে বিবেচনা করা হবে না। বোর্ড সহজ করছে সে নীতিটাই, দুনিয়াজোড়া টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে বেড়ানো গেইলরা তাই সামনের ইংল্যান্ড সফরেই ডাক পেতে পারেন উইন্ডিজের ওয়ানডে দলে।
আনুষ্ঠানিকভাবে অক্টোবরের এ নিয়মকে বদলানোর কথা। সে মাসেই সাদা বলের ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেয়া হবে, যেখানে তাদের নিরাপত্তা ও নমনীয়তার নতুন কিছু ধাপ যোগ করা হবে।
উইন্ডিজ বোর্ডের পরিচালক জিমি অ্যাডামস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের সংস্থার প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ দুজনই এর আগে আগের নীতি বদলানোর পক্ষে বলেছিলেন। অ্যাডামস এ নীতিকে বলেছিলেন ‘অস্থিতিশীল’।
যারা এর মাঝে আঞ্চলিক ক্রিকেটে খেলেননি, তাদের জন্য ‘রাজক্ষমা’ চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ চাওয়া হয়েছে। মারলন স্যামুয়েলস, লেনডল সিমন্স, ড্যারেন স্যামি, আর ডোপিংয়ের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আন্দ্রে রাসেলও এ থেকে উপকারী হবেন বলে ভাবা হচ্ছে।
ক্রিকেটারদের ‘রাজক্ষমা’ এখনও অনুমোদন করা না হলেও ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, এ সপ্তাহের আগেই একটা সভা ডেকে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।
গত বছর জিম্বাবুয়ে সফরের সময় বোর্ড প্রেসিডেন্টকে নিয়ে টুইট করে ফেঁসে গিয়েছিলেন ব্রাভো। এখন তিনি বলছেন, তিনি ক্ষমাপ্রার্থী, মুছে ফেলবেন সে টুইটও। তাকে নিয়ে মন্তব্য করা বোর্ড প্রেসিডেন্টও ক্ষমা চেয়েছেন। ব্রাভো এখন ক্ষতিপূরণও চাইবেন না কোনো। এর মাধ্যমে অবশ্য সামনে অনুষ্ঠিত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন তিনি।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে নেমে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার এখন সুযোগ নেই বললেই চলে। ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে তাই প্লে-অফের বিকল্প নেই, কদিন আগেই টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা গেইল বা অন্যান্যরা ওয়ানডে দলে ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে সেখানে শক্তিশালীই হয়ে উঠবে তাতে সন্দেহ নেই।