• " />

     

    ফতুল্লায় জুনাইদ ঝড়

    ফতুল্লায় জুনাইদ ঝড়    

    বলতে গেলে একরকম বিস্মৃতিতেই  হারিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ২০১১ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন। এরপর থেকে জাতীয় দলে ব্রাত্যই। অথচ একসময় জাতীয় দলে দারুণ প্রতিশ্রুতি জাগিয়েই এসেছিলেন। জুনাইদ সিদ্দিক আবার দলে ফিরতে পারবেন কিনা সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে আজ বিসিবি নর্থ জোনের এই ওপেনার জানিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। ১৩৬ রানের দারুণ এক সেঞ্চুরি করে নর্থ জোনকে তুলে দিয়েছেন ৩২৮ রানের পাহাড়ে। এই বিশাল রান তাড়া করে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন অবশ্য খুব বেশিদূর যেতে পারেনি, বৃষ্টি এসে ১৩ ওভারেই পন্ড করে দিয়েছে খেলা।

     

     
    সর্বশেষ জাতীয় লীগে রাজশাহীর হয়ে দুই সেঞ্চুরি করেছেন। তবে সেভাবে রানের মধ্যে ছিলেন না, বিসিএলেও প্রথম দুই ম্যাচে ফ্লপ। আজ অবশ্য  শুরু থেকে ঝলসে উঠেছে জুনায়েদের ব্যাট। ওপাশ থেকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান লিমন, দুজন মিলে প্রথম উইকেটে তুলেছেন ১৬৮ রান। এরপর অবশ্য মুশফিক-নাসিররা হাত খুলে খেলতে পারেননি। মুশফিক আউট হয়ে গেছেন ৪ রান করে, নাসির করেছেন ২০ রান। সাব্বির রহমান অবশ্য বিশ্বকাপের ফর্মটা টেনে নিয়ে এসেছেন, ২৫  বলে ঝটিকা ৩২ রান করে রানটা নিয়ে গেছেন ৩০০র ওপারে। তার আগেই অবশ্য জুনাইদ আউট হয়ে গেছেন, তবে ততক্ষনে করে ফেলেছেন ১৩৬ রান। ১২টি চার ও চারটি ছয় ছিল তার ইনিংসে। ইস্ট জোনের সব বোলাররা ছিলেন কমবেশি খরুচে। তবে ৫১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আরাফাত সানি ছিলেন সবচেয়ে সফল।
     
    ব্যাট করতে নেমে ১০ রানেই আউট হয়ে গেছেন তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপের পর আজই প্রথম নেমেছিলেন মাঠে, কিন্তু আজও নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেন। বরং ওয়ানডেতে জোরেশরে যার নাম শোনা যাচ্ছে, সেই লিটন দাস খেলছিলেন দারুণ। ৩৩ বলে ৪৭ রানও করে ফেলেছিলেন, কিন্তু বৃষ্টি এসে থামিয়ে দেয় তাঁকে। জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার মমিনুল হক আউট হয়ে গেছেন শূন্য রানে। ১৩ ওভারে ৮৪ রান করার পরেই বৃষ্টি ভাসিয়ে দিয়ে যায় মাঠ। পরে আর শুরু হয়নি খেলা।
    ছবি-সৌজন্যঃবিসিবি