• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আবারও চার গোলে জিতল ইউনাইটেড

    আবারও চার গোলে জিতল ইউনাইটেড    

    গত সপ্তাহে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট হামকে হারানো ম্যাচটাই যেন আবার  ফিরে এল লিবার্টি স্টেডিয়ামে। এবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ ছিল সোয়ানসি সিটি। তাদের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জিতল মরিনহো দল। ইউনাইটেডের হয়ে গোল করেছেন এরিক বাইয়ি, লুকাকু, পগবা ও মারশিয়াল। ১৯০৭/০৮ মৌসুমের পর এবারই লিগের প্রথম দুই ম্যাচ চার গোলের ব্যবধানে জিতল ম্যান ইউনাইটেড।   

    ম্যাচ শেষ ১০ মিনিট আগেও অবশ্য ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত ছিল না। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এরিক বায়ির গোলে এগিয়েছিল রেড ডেভিলরা।  ৮০ থেকে ৮৪  মিনিটের মধ্যে সোয়ানসির উপর একরকম ছড়ি ঘুরিয়ে আরও তিন গোল আদায় করে বড় জয়ই নিশ্চিত করে ম্যান ইউনাইটেড।



     

    সোয়ানসির বিপক্ষে আগের ম্যাচের দলটাই নামিয়েছিলেন মরিনহো। দুই দলের আক্রমনাত্মক খেলায় শুরু থেকেই জমে উঠেছিল ম্যাচ। স্কোরলাইন দেখে অবশ্য সেটা আন্দাজ করার উপায় নেই। প্রথম ১০ মিনিটের মাঝেই দুই দলই বারপোস্টে আঘাত হানে। ৩ মিনিটে জর্ডান আইয়ুর ক্রস বারপোস্টে লেগে ফেরত আসার ৫ মিনিট বাদেই ফিল জোন্সের হেড বাধা পায় বারপোস্টে।


                                             আরও পড়ুনঃ আর্সেনালকে মাটিতে নামিয়ে আনল স্টোক



    সোয়ানসির আক্রমণভাগে আইয়ু, আর আব্রাহাম মিলে কিছুটা গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও সিগুর্ডসনের অভাবটা ছিল স্পষ্ট। তাই শুরুটা ভালো হলেও গোল হজমের পর আর ফিরে আসা হয়নি সোয়ানসির। প্রথমার্ধের শেষদিকে কর্নার থেকে হেড দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এরিক বায়ি। এর আগে অবশ্য রাশফোর্ড দারুন সুযোগ এক সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন সোয়ানসির ডিফেন্সের ভুলে। কিন্তু তার নেয়া শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ফাবিয়ানস্কি। 

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুই দলের কেউই তেমন আক্রমণের সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। মিখিতারিয়ান, পগবাদের আক্রমণগুলো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন সোয়ানসি ডিফেন্ডাররা।  

    ৭৫ মিনিটে আগের ম্যাচের মতোই  মারশিয়াল ও ফেলাইনিকে একসাথে নামান মরিনহো। প্রথমার্ধে তেমন সুবিধা করতে পারেননি মিখিতারিয়ান। কিন্তু ইউনাইটেডের বড় জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান আসলে এই আর্মেনিয়ানেরই। ৮০ মিনিটে তার বাড়ানো  বলেই গোল করেন লুকাকু। এর ৭৮ সেকেন্ড পরই আবারও গোল। এবার মিখিতারিয়ানের বাড়ানো থ্রু বলে, চিপ করে বল জালে জড়ান পল পগবা। ৮২ মিনিটে পগবার পাস থেকে গোল করে চক্র পুরণ করেন মারশিয়াল। আগের ম্যাচেও এই তিনজন মিলেই করেছিলেন ৪ গোল। এবার শুধু তাতে নতুন করে যোগ হল এরিক বায়ির নাম।