• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ম্যানচেস্টারে রাতটা রুনির হতে দিলেন না স্টার্লিং

    ম্যানচেস্টারে রাতটা রুনির হতে দিলেন না স্টার্লিং    

    লাল কার্ড, রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, শেষ মুহুর্তের গোল- সবই ছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষ হয়েছে দুই দলের পয়েন্ট ভাগাভাগিতে। দুই দলই ম্যাচ শেষ করেছে দশ জনের দল নিয়ে। ম্যাচশেষে ডাগআউটে সাবেক বার্সা সতীর্থ দুই ম্যানেজারের  করমর্দনের সময় তাই অখুশি মনে মনে হয়নি কাউকেই! রোনাল্ড কুমেনের এভারটনের সাথে ১-১ এ ড্র করেছে গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। 

    ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৩৫ মিনিটে এভারটনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েইন রুনি। আগের ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন। আজ ক্লাভের্ট লিউইনের ক্রস থেকে গোল করে প্রিমিয়ার লিগে ২০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকার। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল অ্যালান শিয়ারারের। পুরনো শত্রু রুনির গোলে পিছিয়ে পড়ার মাত্র ৫০ সেকেন্ড আগে অবশ্য সিটিজেনরাই লিড নিতে পারত ম্যাচে। কিন্তু ডেভিড সিলভার শট বারপোস্টে বাধা পেয়ে ফেরত আসলে প্রতি আক্রমণ থেকে উল্টো গোল খেয়ে বসে গার্দিওলার দল।






     

    গোল হজম করলেও প্রথমার্ধে ভালোই খেলছিল সিটি। কিন্তু ৪২ মিনিটের পর ৪৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন কাইল ওয়াকার। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে মাঠ ছাড়তে হয় ইংলিশ রাইটব্যাককে। এক গোলে পিছিয়ে ও একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে বিরতির পর কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় ম্যান সিটির। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গাব্রিয়েল জিসাসের বদলে রাহিম স্টার্লিংকে মাঠে নামান গার্দিওলা। ম্যানচেস্টারে শেষ পর্যন্ত রাতটা রুনির হতে দেননি এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডই। একের পর এক আক্রমণ সাজিয়েও যখন গোলের দেখা পাচ্ছিল না সিটি, তখনই দলকে স্বস্তি এনে দেন স্টার্লিং। আর এভারটনও লিড হারায় পুরনো 'শত্রু'র কাছেই। সাবেক লিভারপুল উইঙ্গারের ৮২ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর থেকে করা ভলি জালে জড়ালে ম্যাচে সমতায় ফেরে ঘরের দল। 





     

    এর আগে অবশ্য দানিলো, বের্নারদো সিলভাকে মাঠে নামিয়ে মাঝমাঠে পরবর্তিন এনেছিলেন গার্দিওলা। ৭৬ মিনিটে দানিলো প্রায় সমতা ফিরিয়ে এনেছিলেন ম্যাচে। কিন্তু তার গ্রাউন্ড শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন এভারটন গোলরক্ষক। তিন বদলী খেলোয়াড় মিলেই আসলে দশ জনের দল নিয়েও সিটিকে হার এড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। সাথে আগুয়েরো, সিলভারাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গোলের দেখা পাননি কেউই। লিড ধরে রাখতে কুমেনও নামিয়েছিলেন সিগুর্ডসন ও ক্লাসেনকে। সিগুর্ডসন তার এভারটন অভিষেকের দিনে তেমন নজর কাড়তে না পারলেও আরেক বদলী ক্লাসেনের শেষ মুহুর্তের ট্যাকেলে ড্র নিশ্চিত হয়েছে এভারটনের।

     

    ৮৮ মিনিটে মর্গান স্নাইডারলিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডারকে দেখানো রেফারির দ্বিতীয় হলুদ কার্ড নিয়েও অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। ফলে দশ জনের দলে পরিণত হয় এভারটনও। শেষদিকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জয়ের চেষ্টাও করে সিটি। যোগ করা সময়ে বের্নারদো সিলভার চিপ থেকে গোলের দারুন সুযোগ পেতে পারতেন ডেভিড সিলভা। কিন্তু সিলভার কাছে পৌঁছানোর আগেও  শুন্যে লাফিয়ে উঠে বল ক্লিয়ার করেন ক্লাসেন। ফলে ঘটনাবহুল ম্যাচ শেষ হয় দুই দলের পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই।