শেষ মুহুর্তের গোলে জিতল সিটি
যোগ করা সময়ে নির্ধারিত ৫ মিনিটের খেলাও শেষ। এভারটনের পর বোর্নমাউথের সাথেও ড্র করেই ফিরতে হবে বলে হচ্ছিল গার্দিওলার দলকে। কিন্তু এবারও ম্যানচেস্টার সিটিকে বাঁচালেন রহিম স্টার্লিং। আগের ম্যাচে হার এড়াতে সাহায্য করেছিলেন, এবার দলকে জিতিয়েই ফিরলেন। ৯৭ মিনিটে স্টার্লিংয়ের গোলে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
গোল করলেও অবশ্য স্টার্লিংয়ের শেষটা সুখকর হয়নি। ৯০ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন একবার। গোলের পর উদযাপন করতে ছুটে যান গ্যালারির সিটি সমর্থকদের দিকে। ওই উদযাপন পরে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের জন্য। গোলের পরই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্টার্লিং। পুরো ম্যাচে অবশ্য অনেকবারই নিজের পকেটে হাত দিতে হয়েছে রেফারি মাইক ডিনকে। লাল কার্ড একবার দেখালেও, হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ১০ বার! ১০০ মিনিটের ম্যাচে বিতর্ক আছে রেফারির অন্য সিদ্ধান্ত নিয়েও! নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওার পরও শেষ বাঁশি বাজাননি রেফারি! আর তাতেই কপাল পুড়েছে বোর্নমাউথের!
পুরো ম্যাচের মতো শেষদিকেও মাঠে দাপট ছিল বেশি গার্দিওলার দলেরই। তবে ৯৫ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যেতে পারত বোর্নমাউথই। প্রতি আক্রমণ থেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন জসুয়া কিং। কিন্তু ডিবক্সের বাইরে তার করা শট সহজেই ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক এডারসন মোরায়েস। কিং ফাকায় দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থকে পাস দিলে গল্পটা অন্যরকমও হতে পারত বোর্নমাউথের জন্য।
ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে আজ চারজন ডিফেন্ডার নিয়েই শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। বেঞ্জামিন মেন্দির সাথে নেমেছিলেন দানিলোও। কিন্তু তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ১৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল ম্যান সিটি। দেখার মতো শটে গোল করে চার্লি ড্যানিয়েলস এগিয়ে বোর্নমাউথকে। অবশ্য সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
২১ মিনিটে ডেভিড সিলভার ডিফেন্স চেরা পাস থেকে গোল করে সিটিকে সমতায় ফেরান গ্যাব্রিয়েল জিসুস। এরপর প্রথমার্ধে আরও আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না গার্দিওলার দল। বিরতির আগে ৫ বার অন টার্গেটে শট করলেও, আসমির বেগোভিচের জালে আরও একবার বল ঢোকাতে ব্যর্থ হয় সিটি। গোলের আশায় দ্বিতীয়ার্ধে সার্জিও আগুয়েরোকে মাঠে নামান সিটি ম্যানেজার। তবে তিনিও তেমন কিছুই করতে পারেননি ম্যাচে। ৭৪ মিনিটে অবশ্য অটামেন্ডির হেড বারপোস্টে লেগে ফেরত না আসলে আরও আগেই এগিয়ে যেতে পারত সিটিজেনরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৯৭ মিনিট পর্যন্ত। ডিবক্সের ভেতর দানিলোর পাস খুঁজে পায় ফাকায় দাঁড়িয়ে থাকা স্টার্লিংকে। স্পটকিক নেয়ার জায়গা থেকে শট করে বল জালে জড়িয়ে সিটির জয় নিশ্চিত করেন তিনি।