• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    উরুগুয়ে থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা

    উরুগুয়ে থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা    

    ম্যাচের শেষ দশ মিনিটের বেশির ভাগ সময়ই মাঝমাঠে নিজেদের মাঝে বল পাস দিয়ে খেলছিল আর্জেন্টিনা। আক্রমণে নেই তেমন তাড়া! আর উরুগুয়েও নিজেদের সীমানা থেকে আর্জেন্টিনাকে দূরে রাখতে পেরেই যেন খুশি! মন্টেভিডিওতে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনার ম্যাচের এই খন্ডচিত্রই যেন পুরো ম্যাচের প্রতিচ্ছবি। জিততে না চাওয়ার ম্যাচে জেতেনি কেউই। গোলও হয়নি কোনো। 

    এর আগে প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা দলের কোচ থাকলেও, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এটিই ছিল হোর্হে সাম্পাওলির প্রথম। উরুগুয়ের সাথে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পাওয়ায় শেষ বাঁশি বাজার পর খুব একটা অখুশিও বোধ হয় হলেন না সাম্পাওলি! আজকের ড্রয়ের পর পয়েন্ট তালিকায় ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আগের মতো ৫ নম্বরেই আছে দুইবারের বিশ্ব জয়ীরা। তবে আজ জয় পেলে চার নম্বরে থাকা চিলিকে টপকে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেও তাই আগের জায়গাতেই আছে চিলি।  আর্জেন্টিনার সমান ২৩ পয়েন্ট হলেও, গোল গড়ে এগিয়ে তাদের অবস্থান ৪ এ।




     

    প্রায় তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকার পর আজ উরুগুয়ের হয়ে প্রথম একাদশে নেমেছিলেন লুইস সুয়ারেজ! বার্সেলোনা স্ট্রাইকারের দলে সংযোজনটা ছিল অবাক করার মতোই! শেষ মুহুর্তে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ন হলেও পুরো ম্যাচে বল ছাড়া খুব একটা দৌড়াতে দেখা যায়নি তাকে। তবে প্রথম সুযোগটা এসেছিল তার কাছেই। ৩১ মিনিটে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের ভুল থেকে পাওয়া সুযোগটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি। বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়েই বেশি। ৩৭ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান রদ্রিগেজের দূরপাল্লার শট প্রথম চেষ্টায় ঠিক মতো ঠেকাতে ব্যর্থ হন সার্জিও রোমেরো। তবে ভুলের মাশুলটা গুণতে হয়নি তাকে। ফিরতি বলে শট করেন এডিনসন কাভানি। তবে এবার দারুণ এক সেভ করে ম্যাচে সমতা রাখেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

    আর্জেন্টিনার ৩-৪-৩ ফর্মেশনের আক্রমণভাগে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি, পাউলো দিবালা ও মারুও ইকার্দি। প্রথমার্ধে মেসিই এগিয়ে দিতে পারতেন আর্জেন্টিনাকে। ৪৩ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে, দিবালার সাথে ওয়ান-টু খেলে ডিবক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন মেসি, নিজস্ব ভঙ্গিতেই। তবে এবার কেবল গোলের দেখাটাই পেলেন না। মেসির নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন ফার্নান্দো মুসলেরা। উরুগুইয়ান গোলরক্ষক অবশ্য পরে আরও একবার মেসিকে গোলবঞ্চিত করেন। ৫১ মিনিটে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ফ্রি কিক ঠেকিয়ে দিয়ে। 

    গোলের সুযোগ তেমন না পেলেও পুরো ম্যাচেই বেশ কয়েকটি দারুণ পাস দিয়েছিলেন মেসি। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি ডি মারিয়া, ইকার্দিরা। এদের মাঝে ডি মারিয়ারই পারফরম্যান্সটাই বেশি চোখে লাগার কথা সাম্পাওলির। মাঝমাঠ থেকে মেসির দেয়া প্রায় ৮/১০ টি পাসের কোনোটি থেকেই ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি পিএসজির উইঙ্গার।

    শেষদিকে হাভিয়ের পাস্তোরেকে নামিয়েও তেমন সুবিধা করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে বল পজেশন প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও, আর্জেন্টিনা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে হাতে গোণা অল্প কয়েকটিই। অন্যদিকে অস্কার তাবারেজের দলও ঘরের মাঠে গড়পড়তা মানের ফুটবলই খেলেছে বিরতির পর। তাই ম্যাচশেষে গোলশূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই কোচকে।