• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    পলিনহো, কুতিনহোতে জিতলো ব্রাজিল

    পলিনহো, কুতিনহোতে জিতলো ব্রাজিল    

    তিতের অধীনে ব্রাজিলের জয়রথ ছুটছেই। এরই মাঝে রাশিয়ার টিকেট নিশ্চিত করা 'ক্যানারিনহো'দের সামনে পাত্তা পাচ্ছে না কেউই। আজ নিজেদের মাটিতে​ ইকুয়েডরকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দক্ষিণ আমেরিকা পর্বে নিজেদের শীর্ষস্থানটা আরো সুসংহত করলেন নেইমাররা। পলিনহো, কুতিনহোর গোলে ২-০ গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়েছেন তিতের দল।

     

    খেলার শুরুতেই ইকুয়েডর রক্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। প্রথম দশ মিনিটেই পলিনহো, উইলিয়ানের দুটি আগুনে শট বাঁচিয়ে দলকে সমতায় রাখেন ইকুয়েডর কিপার বাঙ্গুরা। প্রথমার্ধ জুড়ে একের পর এক ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। বারবার ফাউলের শিকার হয়ে মেজাজ হারিয়ে ভেলাস্কোকে ফাউল করায় উল্টো হলুদ কার্ড দেখেছেন নেইমার। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের একটি প্রচেষ্টা বাদে প্রথমার্ধে বাকি সময় গোলের তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ব্রাজিল। সিটির তরুণ স্ট্রাইকারের সেই শটটিও দক্ষ হাতে বাঁচিয়ে দিয়েছেন বাঙ্গুরা। গোলের জন্য অপেক্ষাটা তাই বাড়ে ব্রাজিলের।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মিরান্দার বদলে থিয়াগো সিলভাকে নামান তিতে। সাবেক অধিনায়কের উপস্থিতিতে যেন জেগে ওঠে ব্রাজিল। নেইমার, হেসুসরাও ফিরতে থাকেন স্বরূপে। কিন্তু বাঙ্গুরা যেন এক দুর্ভেদ্য দেয়াল। ৫৮ মিনিটে আলভেসের ক্রসে 'পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক' রেঞ্জে থাকা হেসুসের হেড অবিশ্বাস্যভাবে বাঁচিয়ে দেন এই কিপার। তখন তিতের এবং নেইমারের কিংকর্তব্যবিমূঢ় অভিব্যক্তি যেন জানান দিচ্ছিল, বাঙ্গুরাকে বোকা বানাতে কষ্টৈ করতে হবে ব্রাজিলকে।

    কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই সেই শঙ্কা দূর করেন কুতিনহো।
     ৬০ মিনিটে কুতিনহো মাঠে নেমেই হাল ধরেন দলের। তবে ব্রাজিলের হয়ে ডেডলকটা ভাঙেন পলিনহো! ৬৯ মিনিটে উইলিয়ানের কর্নার পৌঁছে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো পলিনহোর কাছে। ডিবক্সের মধ্য থেকে জোরালো শটে দলকে লিড এনে দিতে ভুল করেননি সদ্য বার্সায় যোগ দেয়া এই মিডফিল্ডার। এর মিনিট তিনেক পরই আরও  এক দুর্দান্ত সেভ করে নেইমারকে হতাশ করেন বাঙ্গুরা।

    মাঠে নামার ১৫  মিনিট পরই ব্যবধান ঠিকই দ্বিগুণ করেন কুতিনহো। বাঁ-প্রান্ত থেকে হেসুসকে চিপ করে পাস বাড়ান লিভারপুলের এই মিডফিল্ডার। হাওয়ায় ভাসতে থাকা বলে 'রেইনবো' কিক করে ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে কুতিনহোকে বল দেন হেসুস। গোলের মাত্র  গজ দূর থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ভুল করেননি কুতিনহো।

    এই গোলের পর ডাগআউটে তিতের জগতজোড়া হাসিই জানান দিচ্ছিল, ইকুয়েডর বাধা টপকাতে পেরে
    কতটা স্বস্তিতে আছেন তিনি! ম্যাচের বাকিটা সময় সিলভারা ইকুয়েডরকে দমিয়ে রাখলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।