• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    ভেনেজুয়েলার সাথে ড্র করে খাদের কিনারায় আর্জেন্টিনা

    ভেনেজুয়েলার সাথে ড্র করে খাদের কিনারায় আর্জেন্টিনা    

    লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার অবস্থান সবার শেষে, দশ নম্বরে। আজকের আগে ১৫ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট ছিল মাত্র ৭! বাছাই পর্বে ধুঁকতে থাকা আর্জেন্টিনা সেই ভেনেজুয়েলাকেও হারাতে পারল না। মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়ালের বিপক্ষে ড্র করল ১-১ গোলে। আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি থাকতেও ২০১৮ বিশ্বকাপের জায়গা পাওয়ার স্বপ্নটা তাই ঝুলেই থাকল মেসিদের জন্য।

    আজকের ম্যাচের পর ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৫ নম্বরেই আছে আর্জেন্টিনা। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে পেরু। আর এক পয়েন্ট কম নিয়ে চিলি রয়েছে ছয়ে। বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হলে আগামী মাসে পেরুকে হারাতেই হবে আর্জন্টিনার। বাকি দুই ম্যাচে সমীকরণ না মিললেই আর্জেন্টিনাকে বাদ পড়তে হবে বিশ্বকাপ থেকে। ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো!

    গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫০ মিনিটে ভেনেজুয়েলাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জন মুরিলো। মাঝমাঠ থেকে দেয়া কর্দোবার পাসে ডিবক্সের বাইরে থেকে চিপ করে স্রোতের বিপরীতে ভেনেজুয়েলাকে লিড এনে দেন এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পাওয়াটাই ছিল আর্জেন্টিনার জন্য হতাশার। বিরতির পর উল্টো গোল হজম করে ঘরের মাঠে বিশাল চাপে পড়ে লা আলবিসেলেস্তেরা।





    সেই চাপটা অবশ্য কাজেও লাগিয়েছিল হোর্হে সাম্পাওলির দল। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। গোল হজমের ৫ মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। মার্কোস আকুনিয়ার ক্রস ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার ফেলতশারের গায়ে লেগে ঢুকে যায় তার জালেই! আত্মঘাতী গোলে সমতা আসার মিনিট খানেক পরই পাউলো দিবালাও দারুণ এক শট করেছিলেন ডিবক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু তার নেয়া কিকটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক উইলকার ফারিনেজ।

       
    আর্জেন্টিনাকে রুখে দেয়ার ম্যাচে ভেনেজুয়েলার নায়ক আসলে এই ফারিনেজই! ১৯ বছর বয়সী গোলরক্ষকের দৃঢ়তাই আটকে দিয়েছে মেসিদের! প্রথমার্ধে মারুও ইকার্দির দুইটি, আর লিওনেল মেসির একটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে তিনিই ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন ভেনেজুয়েলাকে। তা না হলে প্রথমার্ধেই কয়েক গোলে এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা।

    এই ম্যাচেই দলে ফিরেছিলেন হাভিয়ের মাসচেরানো। আগের ম্যাচে ভালো খেলা লুকাস বিলিয়ার পরিবর্তে সাম্পাওলি মাঠে নামিয়েছিলেন এভার বানেগাকে। ২৫ মিনিটে ডি মারিয়া ইঞ্জুরি নিয়ে মাঠ ছাড়লে তার জায়গায় নামেন আকুনিয়া। প্রথমার্ধে গোলের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করার মাশুল গুণতে হয় আর্জেন্টিনাকে বিরতির ঠিক পর পরই। সমতায় ফেরার পর ধীরে ধীরে ছন্দে খুঁজে পাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। ৬১ মিনিটে একটি পেনাল্টিও পেতে পারতেন ইকার্দি। কিন্তু সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেন রেফারি। আর্জেন্টিনা যখন গুছিয়ে উঠছিল, তখনই দিবালার বদলে দারিও বেনেদেত্তোকে মাঠে নামিয়ে দেন সাম্পাওলি। বোকা জুনিয়র্স স্ট্রাইকারের অভিষেকটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত হতাশাজনকই হল। মাঝমাঠ থেকে দেয়ার মেসির পাসটা কাজে লাগাতে পারলে হয়ত আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিতে পারতেন তিনিই!

    খেলার ১৫ মিনিট বাকি থাকতে ইকার্দিকে উঠিয়ে হাভিয়ের পাস্তোরে মাঠে নামান আর্জেন্টাইন কোচ। এই ম্যাচেও সার্জিও আগুয়েরো থেকে গেছেন উপেক্ষিতই। ৯৫ মিনিটে পাস্তোরেও অবশ্য  প্রায় একইরকম ভাবে মেসির দেয়া পাস থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক ফারিনেজ। বারবার বাধা হয়ে দাঁড়ানো গোলরক্ষকের দূর্গ পেরিয়ে আর শেষ পর্যন্ত গোলের দেখাই পায়নি আর্জেন্টিনা। তাই আরও একটি হতাশার ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।