ভাগ্যটাও এবার পক্ষে চান ইমরুল
একটা চোটই যেন এলোমেলো করে দিল সব। ক্রাইস্টচার্চে সে যে ওপেনিংয়ে জায়গা হারালেন, এরপর তিন নম্বরেই খেলতে হচ্ছে ইমরুল কায়েস। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে তিনে খেলা নিয়ে নিজের যে অস্বস্তিটা জানিয়েছিলেন, মাঠের পারফরম্যান্সেও তার ছাপটা প্রকট। এবার আর সেসব অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না ইমরুল। নিজে তো পরিশ্রম করছেনই, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটু ভাগ্যের ছোঁয়াও চান।
অস্ট্রেলিউয়ার সঙ্গে চার ইনিংসে করেছেন মাত্র ২১ রান, দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র একবার। যে একবার ছুঁয়েছেন, সে ইনিংসেও অমার্জনীয় একটা শট খেলে দিয়ে এসেছেন উইকেট। ইমরুল স্বীকার করলেন, প্রথম টেস্টের ব্যর্থতা চট্টগ্রামে আত্মবিশ্বাসও একটু নড়িয়ে দিয়েছে, ‘ফার্স্ট টেস্টে প্রথম ইনিংসে দ্রুত আউট হয়ে গেছি, সেকেন্ড ইনিংসে বলটা ভালো হয়ে গেছে। এই কিছু কিছু জিনিসের জন্য আত্মবিশ্বাস হয়তো একটু টাল হয়। এজন্যই পরের টেস্টটা হয়তো পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারিনি।’
সেজন্য ভাগ্যের ছোঁয়াও একটু চান ইমরুল, ‘আমরা অনেক কষ্ট করি উন্নতির জন্য। তারপরও ভুল হয়ে যায়। ক্রিকেটের সঙ্গে একটু ভাগ্য লাগে, এটা অনেকে এ বিশ্বাস করে, করে না। আমার মনে হয় ভাগ্যটা খুব দরকার। যত বড় খেলোয়াড় হোক না কেন, ভাগ্য না থাকলে রান করা কঠিন।’
তবে তিন নম্বরে ব্যাট করা নিয়ে ব্যর্থতার কোন অজুহাত দাঁড় করাতে চান না তামিমের সফলতম ওপেনি-সঙ্গী, ‘ ওয়ান ডাউনে এমন না খেলতে পারি না। ওয়ান ডাউনে আমার সেঞ্চুরিও আছে। হ্যাঁ, গড়টা হয়তো এখানে একটু কম। এসব অজুহাত আসলে দিতে চাই না। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সব জায়গায় খেলতে হবে। ’
চাপের ব্যাপারটাও আলাদা করে মাথায় রাখছেন না, ‘ন্যাশনাল টিমে সব ম্যাচই চাপ। কেউ যদি বলে চাপ নেই, তাহলে ভুল কথা। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে, সবাই চাপে থাকে।’
এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই নয় বছর আগে হয়েছিল টেস্ট অভিষেক। চার ইনিংসে করেছিলেন ২৫ রান, শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের। ইমরুল সেসব আর মাথায় রাখতে চান না, ‘যখন ডেব্যু হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটের এত কিছু বুঝতে পারিনি। আমার জন্য বেশ কিছুটা কঠিন সফর ছিল। এরপর এ দল, একাডেমির হয়ে গেছি, এমন না যে সেখানে খেলা যাবে না। পরের সিরিজে সুযোগ পেলে ভুলগুলো ঠিক করার চেষ্টা করব।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নতুন এক ইমরুলকেই চাইবে বাংলাদেশ।