• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    শুধু সিমন্সের নামটাই বললেন নাজমুল হাসান

    শুধু সিমন্সের নামটাই বললেন নাজমুল হাসান    

    রিচার্ড পাইবাসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বক্সে হাস্যোজ্জ্বল ছবিটা কাল ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে অনেকেই আবারও ‘পাইবাসের প্রত্যাবর্তনও’ দেখে ফেলছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য বলছেন, পাইবাস শর্টলিস্টে থাকা আরও চার-পাঁচ জনের একজন। সেই কয়েকজনের মধ্যে সিমন্স যে সামনের ৯ ডিসেম্বর আসছেন, তাও নিশ্চিত করলেন বিসিবি সভাপতি। তবে বাকিদের নামটা আপাতত 'চমক' হিসেবেই রেখে দিলেন। 

    বিসিবি সভাপতি কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, আপাতত অন্তবর্তীকালীন কোচ নিতে পারে বোর্ড। খালেদ মাহমুদ সুজনের নামও শোনা যাচ্ছিল জোরেশোরে। এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, স্থায়ী কোচ পাকাপাকি হয়ে যেতে পারে খুব শিগগিরই। নাজমুল হাসান বললেন, সামনের ১০ ডিসেম্বরেই একটা বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে বোর্ড, ‘নয় তারিখে আসবে ফিল সিমন্স। তার আগেও একজন আসার কথা। তার নাম এখন বলছি না। কারণ, যেহেতু এখনও তারিখ ঠিক হয়নি, তেমন নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। আরও কয়েক জনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাদের এর মাঝেই আসতে হবে। ১০ তারিখে আমাদের যে বোর্ড মিটিং আছে সেখানে আমরা মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাচ্ছি। সেই জিনিসটা আমাদের সামনের যে সিরিজ আছে তার মধ্যে নাও পারতে পারি। কিন্তু আমাদের একজন স্থায়ী কোচ তো লাগবে। সেটা হচ্ছে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যদি না হয়, এই সিরিজের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত যদি করতে না পারি তাহলে কি হবে, এই সিরিজটা কিভাবে চলবে- এই সব কিছু নিয়েই আলাপ আলোচনা হবে।’  সিমন্স যে আসতে পারেন, সেটা আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই কোচ বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী, শোনা গেছে এমনও।

     

     

    ওই ৯ তারিখই দলের অন্যান্য স্টাফদের সঙ্গেও বসবেন বিসিবি সভাপতি ও বোর্ডের পরিচালকেরা। কিন্তু কোচের ব্যাপারে খেলোয়াড়দের সায় কী? নাজমুল হাসান সেটা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বললেন না, ‘আরও অনেক ক্রিকেটারের সাথে কথা হয়েছে। একেক জনের একেক রকম চিন্তাধারা, সেটা আমরা শুনেছি। অনেকে হয়তো মনে করে, বিদেশি কোনো কোচেরই দরকার নাই। অনেকে মনে করে স্থানীয় কোচ হলে ভালো হয়। অনেকে মনে করে, তাদের কোচেরই দরকার নাই। অনেকের অনেকরকম চিন্তাধারা তো থাকবেই। বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা করলে ভালো হয়।’

    কিন্তু পাইবাস যাওয়ার আগেই তো বোর্ডের ব্যাপারে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। বিসিবি যে অপেশাদার সংগঠন, সেটাও বলেছিলেন। নাজমুল হাসান অবাক করে জানালেন, পাইবাস সেই ধারণা থেকে এখনো সরে আসেননি, ‘এখনও সেই কথাই বলছে সে। কিন্তু এগুলো বলে আমার লাভ কি? আমাকে কিন্তু এখনও তাই বলছে। আমি স্বাভাবিকভাবেই তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তাহলে তুমি আসতে চাও কেন? সে তারও একটা উত্তর দিয়েছে। আমার মনে হয় না, এগুলো বাইরে বলার দরকার আছে।’

    তবে বিসিবি সভাপতির পরের কথা থেকে বোঝা গেল, পাইবাসকে নিয়ে তাঁদের এখনো দ্বিধা রয়েছে, ‘পাইবাসের প্রেজেন্টেশন অবশ্যই ভালো। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। অনেক দূরের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেছে। ১০ বছরের একটা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে। ও লম্বা সময়ের পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। কিন্তু আমাদের দুটোই দেখতে হবে। লং টার্ম, শর্ট টার্ম দুটোই দেখতে হবে। সামনে বিশ্বকাপ আছে, সেটাও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ও যা চায়, যেমন চায় এখনই হয়তো সব পারবো না। তবে শেষ পর্যন্ত ওই পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের জন্যই ভালো হবে।’