• ভারত -শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    ইডেনের রোমাঞ্চে আঁধারের হানা

    ইডেনের রোমাঞ্চে আঁধারের হানা    

    প্রথম টেস্ট, কলকাতা
    ভারত ১ম ইনিংস ১৭২ অল-আউট (পুজারা ৫২, সাহা ২৯, শামি ২৪, লাকমাল ৪/২৬, পেরেরা ১/১৯) ও ২য় ইনিংস ৩৫২/৮ (কোহলি ১০৪*,ধাওয়ান ৯৪, রাহুল ৭৩*, শানাকা ৩/৭৬, লাকমাল ৩/৯৩)
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ২৯৪ অল-আউট (হেরাথ ৬৭, ম্যাথিউস ৫২, থিরিমান্নে ৫১, ভুবনেশ্বর ৪/৮৮, শামি ৪/১০০) ও ২য় ইনিংস ৭৫/৭ (ডিকভেলা ২৭, চান্ডিমাল ২০, ভুবনেশ্বর ৪/৮, শামি ২/৩৪)
    ফল : ম্যাচ ড্র 


    নাইজেল লং হাত গলার ওপরে নিয়ে নাড়ালেন আড়াআড়ি। যার সহজ সরল অর্থ একটাই, ‘খেল খতম’। ইডেন গার্ডেনস রোমাঞ্চ জাগিয়েও তাই মেনে নিল ড্র। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬.৩ ওভারে ৭ উইকেট নিয়েও জিততে পারলো না ভারত। তাতে অবশ্য এতটুকু কমলো না বৃষ্টিবিঘ্নিত এই টেস্টের রোমাঞ্চ, ম্যাচ শেষে কোহলির হাসিটাই বলে দিচ্ছিল সব। 

    দিনে রোমাঞ্চের শুরুটা হয়েছিল বিরাট কোহলির রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি দিয়ে। ব্যাটিংটা সহজ ছিল না, বলের লাইনে গিয়ে খেলতে হয়েছে বেশ বুঝেশুনে। ইডেনের সেই উইকেটেই কোহলি সাজিয়েছিলেন অনুপম ব্যাটিং প্রদর্শনীর পসরা, ১১৯ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে ১০৪ রান, কোহলির ব্যাটিংটাই যেন চাইছিল ভারত। আগের দিনের অপরাজিত রাহুল বা পুজারা, সকালে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ভারতের লেট মিডল অর্ডারও ফিরেছেন দ্রুতই, টিকেছিলেন শুধু কোহলিই। ২৩০ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছেন, শ্রীলঙ্কাকে ছুঁড়েছেন চ্যালেঞ্জ। 

     

     

    সে চ্যালেঞ্জে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ইডেনের উইকেট যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি, তবে ভারতীয় পেসারদের পারফরম্যান্স রয়ে গেছে একই। প্রথম ওভারেই ভেতরের দিকে ঢোকা বলে বোল্ড সামারাবিক্রমা, ৯ম ওভারে গিয়ে থিরিমান্নেকেও ফিরিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমারই। মাঝে দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। দীনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলার ৪৭ রানের জুটি ভারতকে হতাশ করেছিল, চান্ডিমালকে বোল্ড করে আবার ভারতকে আশা দেখিয়েছেন শামি। এক ওভার পরে এলবিডাব্লিউ ডিকভেলা, এ ম্যাচে ড্র ছাড়া অন্য কোনও ফলের সম্ভাবনাও তাই প্রবল হয়েছিল আরেকবার। 

    আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার খানিক আগেই দিলরুয়ান পেরেরাও আউট, তবে এরপরই প্রথমে রঙ্গনা হেরাথ ও দাশুন শনাকা আলো নিয়ে অভিযোগ করলেন। আম্পায়াররা তখন কান দেননি, তবে এরপর লাইট মিটারকে অগ্রাহ্য করতে পারেননি আর। 

    (ম্যাচসেরা : ভুবনেশ্বর কুমার)