ভারতের রেকর্ড জয়ে শ্রীলঙ্কার রেকর্ড হার
প্রথম টি-টোয়েন্টি, কটাক
ভারত ১৮০/৩, ২০ ওভার (রাহুল ৬১, ধোনি ৩৯*, পান্ডে ৩২*, ম্যাথিউস ১/১৯, পেরেরা ১/৩৭)
শ্রীলঙ্কা ৮৭ অল-আউট, ১৬ ওভার (থারাঙ্গা ২৩, পেরেরা ১৯, চাহাল ৩/২৪, পান্ডিয়া ৩/২৯, যাদব ২/১৮)
ফল : ভারত ৯৩ রানে জয়ী
প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ১১২ রানে অল-আউট করে ৭ উইকেটে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ ওয়ানডেতে ২১৫ রানে অল-আউট হয়ে হেরেছিল ৮ উইকেটে। ফরম্যাট বদলে গেল, বদলালো না শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স। বদলালো না ভারতও। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৯৩ রানে হারিয়ে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রানে জেতার নিজেদের রেকর্ড ভেঙ্গেছে ভারত। ২০১২ সালে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৯০ রানই ছিল এর আগে রানের হিসেবে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়।
কটাকের বরাবটি স্টেডিয়ামের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে গুরুত্বপূর্ণ টস জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। শিশিরের প্রভাব থাকার কথা ছিল ম্যাচে, বেশি করে দ্বিতীয় ইনিংসে। তবে শিশির থাকলো ম্যাচজুড়েই। প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে পেসনির্ভর শ্রীলঙ্কান বোলিং আক্রমণ পড়লো নিজেদের ফাঁদেই! শেষ চার ওভারে তারা গুণলেন ৬১ রান। এমএস ধোনি ও মনিশ পান্ডের ৪র্থ উইকেট জুটি শেষ ৩৯ বলে তুলেছে ৭৮ রান। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন লোকেশ রাহুল।
১৮০ রানের পুঁজি নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে আরও বেশি চাপে ফেলেছেন ভারতের দুই রিস্টস্পিনার। যুঝভেন্দ্র চাহাল নিয়েছেন ৪ উইকেট, কুলদিপ যাদব নিয়েছেন ২টি। শিশিরের প্রভাব নিজের বোলিংয়ে পড়তে দেননি হারদিক পান্ডিয়া বা জয়দেব উনাড়কটও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সঙ্গে ছিল রান তাড়ার চাপ, সব মিলিয়ে ১৬ ওভারের মাঝেই গুটিয়ে গেছেন তারা। মাত্র চারজন ছুঁয়েছেন দুই অংক।
ভারতের রেকর্ড জয়ের দিনে নিজেদের হারের রেকর্ডও ভেঙ্গেছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে রানের ব্যবধানে তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয় ছিল পাল্লেকেলেতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, ৮৫ রানে। তবে সেবার ২৬৩ রানের পাহাড় টপকাতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। সে তুলনায় ১৮০ রান ছিল তো মোটামুটি উচ্চতার শৃঙ্গই! এ রেকর্ডে তাই স্বান্তনাটুকুও জুটবে না তাদের।