আইসিসির সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে চারদিনের টেস্ট?
চারদিনের টেস্ট কি তবে দেখেই ফেলছে আলোর মুখ? ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবুজ সঙ্কেতই দিয়েছে আইসিসি, ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বক্সিং ডে টেস্টটি চারদিনের আয়োজন করার। তবে এটা হবে শুধুই একটা ‘পরীক্ষা’, পাকাপাকি কিছু নয়।
এর আগে বরাবরই চারদিনের টেস্টের ব্যাপারে অনীহা দেখিয়ে এসেছে আইসিসি। ২০১৫ সালে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি, যেটার চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক ভারতীয় স্পিনার ও কোচ অনীল কুম্বলে, এমন প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল। প্রস্তাবটি দিয়েছিল আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের কমিটি ও আইসিসির উর্ধ্বতন ম্যানেজমেন্ট। তবে এ বছরের জুনে একটু নমনীয় হয়েছে আইসিসি। তারা বলেছিল, তাদের প্রধান লক্ষ্য ক্রিকেট কাঠামোর উন্নয়ন, তবে সেটা চারদিনের টেস্টের বিপক্ষে নয়। তবে তা হতে হবে শুধুই পরীক্ষামূলকভাবে।
চারদিনের টেস্ট আয়োজনের মূল কারণ দলগুলোর দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সময় নির্ধারণ। টি-টোয়েন্টি লিগ এর প্রধান অন্তরায়, দলগুলোকে তাই রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ সফর করতে। অস্ট্রেলিয়া যেমন বাংলাদেশে এসে খেলে গেল শুধুই টেস্ট, আবার ভারতে গিয়ে খেলছে টেস্ট সিরিজের সঙ্গে বাকি থাকা ওয়ানডে। এর আগে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিরতি নিয়ে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। গত সপ্তাহেই ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের সফরের একটি টেস্ট কমিয়ে এনে বাড়তি একটি ওয়ানডে খেলার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
চারদিনের টেস্ট হওয়া দরকার কিনা, এ ব্যাপারে ক্রিকেট কর্তারা সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে আসতে চাইছেন। মূল দায়িত্বে আছেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, সঙ্গে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের টম হ্যারিসন। তারা মনে করছেন, তাদের ‘ক্রিকেট-ভোক্তা’দের চাহিদা বোঝা উচিৎ।
তবে ক্রিকেটের প্রধান কুশিলব যারা, সেই ক্রিকেটারদের মতামত এখনও পরিষ্কার নয়। এর আগে ক্রিকেটারদের সংস্থার এক জরিপে তারা অবশ্য চারদিনের টেস্টকে ‘অপছন্দ’ই করেছিলেন। তবে চারদিনের টেস্ট খেলতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যানেজমেন্ট খেলতে আগ্রহী বলেই জানিয়েছেন লরগাত।
চারদিনের টেস্ট আদতেই গড়াবে কিনা, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে অক্টোবরে। অকল্যান্ডের আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ের পরই।