প্রায় সারাদিনই খাটলেন বোলাররা
সংক্ষিপ্ত স্কোর, দ্বিতীয় দিনশেষে
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৩০৬/৭ ডিক্লে., ৭৪.১ ওভারে (মুমিনুল ৬৮, মুশফিক ৬৩, সাব্বির ৫৮*; কোহেন ৪/২৩) ও ২য় ইনিংস ৬/০, ৩ ওভার (ইমরুল ৪*, লিটন ২*)
দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ ১ম ইনিংস ৩১৩/৮ ডিক্লে., ৯১ ওভার (বার্গ ৬২, হামজা ৬০, ক্রিস্টেনসেন ৫৩, শফিউল ২/৬১, শুভাশীষ ১/২৭, মুস্তাফিজ ১/২৮, তাইজুল ১/৪৭, মিরাজ ১/৫৬, তাসকিন ১/৭০)
বাংলাদেশ ১ রানে পিছিয়ে
মুস্তাফিজুর রহমান, শুভাশীষ রায়, মেহেদি হাসান মিরাজ, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলামের সঙ্গে বল করেছেন সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানও। দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের সঙ্গে প্রস্ততি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ঘাম ঝড়িয়েছেন বোলাররাই। বল করতে হয়েছে প্রায় পুরো দিনই। উইকেটের দেখা পেয়েছেন ছয়জন স্বীকৃত বোলারই, গতকালের একটা রান-আউটে ভাগ ছিল সাব্বিরের।
সবচেয়ে বেশি ১৬ ওভার করে বল করেছেন মিরাজ ও তাইজুল। শুভাশীষ করেছেন ১৫, তাসকিন ১৪, মুস্তাফিজুর ১৩ ও শফিউল ১২ ওভার। শুভাশীষ সবচেয়ে কিপটে বোলিং করেছেন, ২৭ রান দিয়েছেন ১.৮০ ইকনোমি রেটে। আর খরচের হাত লম্বা ছিল শফিউলের, ৫.০৮ হারে দিয়েছেন ৬১ রান।
প্রথম ইনিংসে সিএসএ আমন্ত্রিত একাদশ তুলেছে ৩১৩ রান, ৮ উইকেটে। ইনিংশ ঘোষণা করেছে এরপরই।
দিনের প্রথম উইকেট নিয়েছেন শুভাশীষ, ইয়াসিন ভাল্লিকে ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। আমন্ত্রিত একাদশের রান তখন ২৫। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই কয়েকটি উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৬ রানের মাথায় লিউস ডু প্লুইকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়েছেন শফিউল। হেইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে পরে ফিফটি করা জুবাইর হামজার ৫৩ রানের জুটি ভেঙ্গেছেন মুস্তাফিজ, ক্লাসেন ক্যাচ দিয়েছেন মুমিনুলকে।
খানিকবাদে ৬০ রান করা হামজা ক্যাচ দিয়েছেন ইমরুলকে, তাসকিনের বলে। দুই ম্যাথিউ, ব্রিটজকে ও ক্রিসটেনসেনের ৫৮ রানের জুটি ভেঙ্গে প্রথম উইকেট নিয়েছেন মিরাজ, ব্রিটজকে ৪৪ রান করে হয়েছেন এলবিডাব্লিউ।
বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করিয়ে নিয়েছেন ক্রিস্টেনসেন ও শন ফন বার্গের ৭৯ রানের জুটি। সে জুটি ভেঙ্গে দিনে দ্বিতীয় উইকেট নিয়েছেন শফিউল, ক্রিস্টেনসেন তার পূর্বসঙ্গী ব্রিটজেকের মতোই করতে পেরেছেন ৪৪ রান।
নয় নম্বরে নেমে মাইগেল প্রিটোরিয়াস আবার তুলেছেন ঝড়। বাংলাদেশের রান টপকে লিড পাওয়া হয়ে গেছে তাতেই, ২৩ বলে ৪২ করার পর তাইজুলকে প্রথম উইকেট দিয়েছেন প্রিটোরিয়াস, হয়েছেন বোল্ড। ফন বার্গ অপরাজিত ছিলেন ৬২ রানে।
আগের দিনের চোটের কারণে ওপেনিংয়ে নামেননি তামিম ইকবাল। সৌম্যকেও পাঠানো হয়নি। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে এসেছেন লিটন, দিনের শেষ ৩ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকেই কাটিয়ে দিয়েছেন তারা।