'উইকেট সময়ের সাথে আরও ভালো হচ্ছে'
দ্বিতীয় দিনে দুই উইকেট নেওয়ার পরও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। ২৩০ রানে এগিয়ে ম্যাচের লাগাম এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে। বাংলাদেশ বরং প্রতিপক্ষের রানের চাকা একটু স্লথ করতে পারাটাই কালকের মোক্ষ করতে পারে। তবে ম্যাচ শেষে মুমিনুল হক জানাচ্ছেন, নেতিবাচক কোনো চিন্তা করছে না বাংলাদেশ। বরং অলআউট করাই লক্ষ্য বাংলাদেশের। উইকেট সময়ের সাথে আরও ভালো হচ্ছে, তাও বললেন।
পচেস্টুফ্রম টেস্টের চতুর্থ দিনে যত দ্রুত সম্ভব রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করাটাই দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য হওয়া উচিত। দুই উইকেট ফেলে বাংলাদেশের পেসাররা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বটে, তবে কাজ এখনো অনেকটাই বাকি। তবে মুমিনুল বলছেন, কাল দ্রুত আরও আট উইকেট নেওয়াটাই লক্ষ্য বাংলাদেশের।
‘উইকেট যেহেতু অনেক ভালো, আমরা নেতিবাচক চিন্তা করছি না। ওরা ডিক্লেয়ার করবে, ওই জন্য বসে থাকব, তাহলে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাব। ওরা ব্যাটিং করবে, আমরা ভালো লাইন লেংথে বল করব তাহলে ব্যাপারটা আমাদের হাতে থাকবে।’
কিন্তু উইকেট কি আসলেই ভালো আছে? মুমিনুল জানাচ্ছেন, উইকেট বরং সময়ের সাথে সাথে আরও ভালো হচ্ছে। সেই হিসেবে সেট হয়েও কারও বড় ইনিংস গড়তে না পারার আক্ষেপটাই কাঁটা হয়ে বিঁধছে তাঁর বুকে, ‘সবাই যেহেতু সেট হয়ে আউট হয়েছি, সেই হিসেবে ৩২০ রান কম হয়ে গেছে। আমি বা রিয়াদ ভাই আউট না হলে ৪০০ বা ৪৫০ হতে পারত। কেউ ১০০ করলে বা পরে একটা জুটি হলেই তা সম্ভব ছিল।’
কিন্তু ৭৭ রান করেও নিজে আউট হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ নেই? তাও আবার উইকেটটা প্রায় বিলিয়েই আসার পর? মুমিনুল এক মুহূর্তে থমকে যাওয়ার পর বললেন, ‘উইকেট প্রথম দিন থেকে অনেক ভালো ছিল, বলতে গেলে আমাদের দেশের উইকেট ছিল। ব্যাটিং করতেও ভালো লেগেছে। আউটটা নিয়ে কী বলব? ওই সময় সেঞ্চুরিরও চিন্তা করছিলাম না, সেশন বাই সেশন খেলার কথাই ভাবছিলাম। আউট হয়তো আমি যেরকম আশা করেছি সেভাবে হয়নি। আমি আরেকটু বেশি টার্ন আশা করেছিলাম। দ্বিতীয় সুযোগ পেলে এই ভুলটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব।’
মুমিনুলের শেষের কথাতেই আস্থা রাখতে চাইবে বাংলাদেশ।