• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    টসে জিতে বোলিং নেওয়ার কারণ জানালেন মুশফিক

    টসে জিতে বোলিং নেওয়ার কারণ জানালেন মুশফিক    

    ভুল থেকে শুরু, যার শেষ বিপর্যয়ে। অনেকটাই বাটারফ্লাই এফেক্টের মতো, শুরুর ছোট চিরটাই দিন শেষে নামিয়েছে বিশাল একটা ধস। টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করলে হয়তো ম্যাচের গল্পটা এতোটা লজ্জার হতো না।

     

    টসে জিতে মুশফিকুর রহিমের বল করার সিদ্ধান্ত বিস্ময় জাগিয়েছে ম্যাচের শুরু থেকেই। বলতে গেলে প্রায় প্রতিটি দিনই এ নিয়ে উত্তর দিতে হয়েছে সাব্বির, তাসকিন, মুমিনুলদের। তবে সিদ্ধান্তটা যাঁর নেওয়া, সেই মুশফিকই প্রথম টেস্ট শেষে জানালেন আসল কারণ। সিদ্ধান্তটা তাঁর একার নয় ,সেটাও ব্যাখ্যাও করলেন শুরুতে।

    'আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরকম উইকেট পাব বুঝতে পারিনি, এখানে তো এরকম আমরা কখনও দেখিনি। প্র্যাকটিস উইকেট তো অন্যরকমই ছিল।’

    মুশফিক দাবি করছেন, চতুর্থ ইনিংসের কথাটা আগেভাগে ভেবে ফেলাটা অনুচিত ছিল। তবে সিদ্ধান্তটা যে ভুল, সেটাও মেনে নিয়েছেন, ‘একটা উইকেট যতই ফ্ল্যাট হোক প্রথম দুই- এক ঘন্টা বোলারদের জন্য কিছু থাকে । এখানে এমন কোনো স্পিন হবে না চতুর্থ ইনিংসে তা খেলা সম্ভব না। তো প্রথম ইনিংসের কথা চিন্তা না করে চতুর্থ ইনিংসের কথা ভাবলে, সেটা একটু কঠিনও। আগে ব্যাটিং করলে ১০০ রানে অলআউটও হয়ে যেতে পারতাম।  দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু আমরা ৪০০-৫০০ করতে পারিনি, অথচ ব্যাটিং করার জন্য অনেক ভালো ছিল। আপনি বলতে পারেন না, প্রথম ইনিংসে ব্যাট করলেই আমরা অনেক রান করে ফেলতাম। হ্যাঁ, সিদ্ধান্তটা অবশ্যই ভুল হয়েছে। তবে ফ্ল্যাট উইকেটে যে আমাদের বোলাররা উইকেট পাবে না সেটা কিন্তু আমরা বিশ্বাস করিনি।’

    উইকেট না পেলেও বোলারদের লাইন লেংথ ঠিক রাখতে না পারায় আরও হতাশ মুশফিক, ‘এখানে উইকেট না পেলেও লাইন লেংথ অন্তত ঠিক রাখতে পারতাম। এজন্যই তো জাতীয় দলে খেলা। ওরকম হলে তো আমিও ঠিক জায়গায় বল করে এক দুই উইকেট নিতে পারি।  প্রথম ইনিংসে সেজন্য বোলারদের ওপর হতাশ। ৫০০ রান দিয়ে ফেললে সেটার জন্য  আমাদের মানসিকতা আলাদা থাকবে। আবার ৪০০ রান হলে মানসিকতা আলাদা হবে।  প্রথম ইনিংসেই আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এই জায়গায় আমাদের কেউ ১০০-১৫০ করতে পারলে আমরা ৩৫০-৪০০ করতে পারতাম। এখানে আমাদের উন্নতির অনেক সুযোগ আছে।’

    মুশফিকের শেষ কথাটাতেই আপাতত ভরসা করতে চাইবে বাংলাদেশ।