• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    'টেস্ট-বোলিং রাতারাতি বদলে যাবে না'

    'টেস্ট-বোলিং রাতারাতি বদলে যাবে না'    

    বাংলাদেশের সাদা পোশাকে আট বছর ধরেই তিনি দর্শক। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সাফল্যও দেখেছেন দূর থেকে। এবার পচেফস্ট্রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ দেখতে হয়েছে টিভি পর্দায়। বিশেষ করে বোলারদের দুর্গতি দেখে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের আলাদা করেই রক্তক্ষরণ হওয়ার কথা। মাশরাফি অবশ্য এখনই বিশ্বাস হারাতে চান না বোলারদের ওপর। বরং এখন যারা দলে আছেন, তাঁদের আরও বেশি সময় দিতে চান।

    পচেফস্ট্রুম টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র দুই উইকেট পেয়েছিলেন বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট পেলেও এর মধ্যে তিনটিই আবার খন্ডকালীন স্পিনারের। মুশফিক ম্যাচ শেষে বোলারদের ওপর নিজের ক্ষোভটা উগড়ে দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। সেটা নিয়ে কম তোলপাড়ও হয়নি। আজ মোবাইল ফোন লাভার একটা অনুষ্ঠানে মাশরাফি ছিলেন মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কার্যালয়। সেখানেই স্বীকার করলেন, টেস্টে বাংলাদেশের বোলিং সবসময়ই একটু কমজোরি।

    ‘টেস্ট ক্রিকেটের বোলিং আমাদের জন্য সব সময়ই দুশ্চিন্তা ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা সময় বল করতে হবে পাশাপাশি ব্রেক থ্রু দিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় বলেন কিংবা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় বলেন সেখানে স্পিনাররাই নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাই টেস্ট ক্রিকেটের বোলিং আসলে রাতারাতি বদলে দেওয়া সম্ভব না।‘

    তবে এই বোলারদের ওপরেই শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখতে চান মাশরাফি, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা বাইরে থাকবে তাদের মন দিয়ে খেলতে হবে। এবং সেটা অনেক লম্বা সময় ধরে। এমন না যে দুই তিন চারটা ম্যাচ ভালো খেলেই আমি টেস্ট ক্রিকেটে ভালো খেলবো। ওইখানে ভালো করছি বলে টেস্টেও ভালো করবো।  টেস্ট ক্রিকেট এতোটা সহজ নয়। এটা ব্যাটসম্যানের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং তেমনি ব্যাটসম্যানরাও আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিবে। তাই এমন না যে রাতারাতি বদলে দেওয়া সম্ভব। তারপরও এরা একবারেই অনভিজ্ঞ, এরা যদি আরও বেশি খেলার সুযোগ পায় অভিজ্ঞ হলে আমার বিশ্বাস এরা ভালো করবে।’

     

    কিন্তু শেষ দিনে এসে ব্যাটিং- ই বা এমন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল কেন? মাশরাফি মনে করছেন, ওটা স্রেফ একটা বাজে দিন ছিল, ‘আমার কাছে মনে হয় যে একটা বাজে দিন গেছে। কাল যেটা হয়েছে ক্রিকেটে মাঝে মাঝে এমন দিন আসে হুট করে এমন হয়ে যায়। এটা অবশ্যই হতাশাজনক। আমাদের দিক থেকে আরও বেশি হতাশাজনক এই দিক থেকে যারা খেলছে। কিন্তু আমি মনে করি এটা ভুলে গিয়ে সামনের ম্যাচে কিভাবে আরও ভালোভাবে খেলা যায় এবং আমরা যারা বাইরে আছি আমাদের তাদের অনুপ্রাণিত করাই উচিৎ।’

    এর মধ্যেও ইতিবাচক দিকটাই দেখতে চাইছেন মাশরাফি, ‘এর আগে চারবার প্রত্যেকবারই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছি। এবার একটু হলেও উন্নতি আছে। নাই যে তা নয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে গিয়েও সংগ্রাম করে করে । ওদের প্রত্যেকেই প্রতিটা সংবাদ সম্মেলনে বলেছে এই টেস্ট ম্যাচ ড্র হবে তার মানে ড্রেসিং রুমেও এমন কথা আলোচনা করেছে। যতটুকু আমি বুঝি কারণ আমি এখনও খেলছি। এই মানসিকতা নিয়ে খেললে দিনে দিনে আমাদের খেলাটার উন্নতি হবে।