'জিতলে ম্যানেজমেন্টের কৃতিত্ব, হারলে দায় অধিনায়কের'
পচেফস্ট্রুম বা ব্লুমফন্টেইন, সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে আসলে কী নিয়ে? বাংলাদেশের ব্যর্থতা নাকি মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্ব? দুই টেস্টে টসের পর নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা মাথায় রাখলে অবশ্য মুশফিকের অধিনায়কত্বকেই বেশি আলোচিত মনে হবে। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের আগেই বোর্ড সভাপতি মুশফিকের সঙ্গে কথা বলেছেন, মুশফিকও ওদিকে সংবাদ সম্মেলনে উগড়ে দিয়েছেন দলের প্রতি তার ‘হতাশা’। তবে কি মুশফিক ছেড়েই দিচ্ছেন অধিনায়কত্ব?
আপাতত সে দায়িত্বটা বোর্ডের ওপরই চাপাচ্ছেন তিনি, ‘হতে পারে (অধিনায়কত্ব ছাড়া), এটা আসলে বোর্ডের ওপর নির্ভর করছে। তারা আমাকে সুযোগ দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে। আমি সততার সঙ্গে সেটা করেছি। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি তারা সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
দলের ব্যর্থতায় নিজের অধিনায়কত্বের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের দায়ও দেখছেন তিনি, ‘কোচের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেমন, এটা তাকেই গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন। সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। দল ভাল করলে ম্যানেজমেন্টের কাছে সব ক্রেডিট যায়, আর খারাপ করলে অধিনায়কের ওপর দায় আসে। তবে আমি এটা নিতে পারবো। আর নিকট ভবিষ্যতে যেই আসুক না কেন, আশা করি এ দুই টেস্টের চেয়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ভাল হবে।’
আর সব সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্টের সবাই মিলিতভাবেই নেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেসব সিদ্ধান্ত মাঠে গিয়ে পূরণ করার দায়িত্বটা পালন করেছেন তিনি।
কথা আছে ১ম দিনের পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের কথা নিয়েও। এ নিয়ে তার সংগে কেউ সরাসরি কথা বলেননি, তবে কারও মনে কষ্ট দিতে চান না তিনি, ‘১ম দিনে মাঠের খেলাই যা হয়েছে, আমি সেটাই বলেছি। আমি নিজের কাছে সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। এখন কেউ যদি আমার মন্তব্যে খুশি না হন, বা অন্যকিছুতে খুশি না হন, তাহলে তাদের সব অধিকার আছে আমাকে বা দলকে নিয়ে কী করবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কেউ যোগাযোগ করেনি এখনও। কারও খারাপ লেগে থাকলে দুঃখিত বলা ছাড়া কিছু বলার নেই। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমিও মানুষ, যদি কারও খারাপ লেগে থাকে, তাহলে আসলে আমার দুঃখিত বলা ছাড়া কিছু করার নেই।’
তবে নিজে থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়া বা পদত্যাগ করবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এটা তার হাতে নেই বলেই মনে করছেন মুশফিক, ‘পদত্যাগ কেন করবো? ক্রিকেট তো দলীয় খেলা। হ্যাঁ, অধিনায়ক হিসেবে আমার দায় আছে, আমার ঘাড়েই দোষ পড়বে সব। আমি দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্মান পেয়েছি, আমি এ কাজ করতে পছন্দই করছি। আমাকে এ সুযোগ যারা দিয়েছেন, তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন এখন। পরের টেস্ট সিরিজের আগেও তো অনেক সময় আছে ঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।’