তরুণরাই সুযোগই দিলেন না মাশরাফিদের
স্কোর
বাংলাদেশ ৪৮.১ ওভারে ২৫৫ (সাকিব ৬৮, সাব্বির ৫২, ইমরুল ২৭, মুশফিক ২২, মাহমুদউল্লাহ ২১; ফ্রিলিঙ্ক ২/২৫, বুদাজা ২/৪১, ফাঙ্গিসো ২/৪৬, সিবোতো ২/৪৯ )
দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ ৪৬.৩ ওভারে ২৫৭/৪ (মার্করাম ৮২, ব্রিটজকে ৭১, ডি ভিলিয়ার্স ৪৩, ডুমিনি ৩৪; মাহমুদউল্লাহ ২/১৩, মাশরাফি ১/৪৭, নাসির ১/৫২)
ফলঃ আমন্ত্রিত একাদশ ৬ উইকেটে জয়ী
ব্যাটিংয়ে অন্তত বিপর্যয় থেকে বাঁচতে পেরেছিল। প্রস্তুতি ম্যাচে যখন জয় পরাজয় মুখ্য নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের কাছ থেকে সেটাই একমাত্র পাওয়া। বোলিংয়ে যে প্রস্তুতি ম্যাচেও সেই আগের বাংলাদেশই। মুশফিকদের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৬ রান তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ তা পেরিয়ে গেছে ৩.৩ ওভার এবং ৩ উইকেট হাতে রেখেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ অবশ্য মোটেই কমজোরি ছিল না। ম্যাচ ফিটনেসের জন্য ডুমিনি-ডি ভিলিয়ার্সরাও ছিলেন দলে। তবে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন যে দুজন, তাঁদের গড় বয়স ২০ বছর। অ্যান্ডাইল মার্করাম তাও টেস্টে দারুণ কিছু করেছেন, অভিষেক সিরিজেই ছড়িয়েছেন আলো। কিন্তু অন্য ওপেনার ১৮ বছর বয়সী ম্যাথিউ ব্রিটজকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচই খেলেছেন মাত্র তিনটি।
বাংলাদেশের ২৫৬ রান তাড়া করে দুজন এনে দিয়েছেন দারুণ একটা সূচনা। শেষ পর্যন্ত ৮২ রানে মার্করামকে যখন নাসির হোসেন আউট করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫.৪ ওভারে তুলে ফেলেছে ১৪৭ রান। ব্রিটজকেও সেঞ্চুরি পাননি, ৭১ রান করে বোল্ড হয়েছেন মাশরাফির বলে। এরপর ডুমিনি- ডি ভিলিয়ার্স কিছুক্ষণ ব্যাটিং অনুশীলন করে নিয়েছেন। দুজনেই অবশ্য আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহর বলে। ডুমিনি হয়েছেন স্টাম্পড, ডি ভিলিয়ার্স দিয়েছেন ক্যাচ। তাতে অবশ্য ম্যাচের ফলে কোনো তফাত হয়নি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ সবাই-ই কমবেশি খরুচে ছিলেন, মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বল করেছেন চার ওভার।
ব্লুমফন্টেইনে অবশ্য আরও একটা বাজে শুরুর পর ভালোভাবেই তা সামলে উঠেছিল বাংলাদেশ। পথ দেখিয়েছেন টেস্টে বিশ্রামে থাকা সাকিব আল হাসানই। চোট থেকে এখনো সেরে না ওঠায় তামিম ইকবাল আজ খেলেননি। তবে ওয়ানডেতে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তামিমের অনুপস্থিতির সুযোগটা কাজে লাগানোর সুযোগ আরও একবার হাতছাড়া করেছেন সৌম্য সরকার। আজ ৩ রানেই আউট হয়ে গেছেন, বাংলাদেশের রান তখন ৭.১ ওভারে ৩১।
ইমরুল কায়েস শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল, ওই ৩১ রানে ২৭ রানই ছিল তাঁর। কিন্তু এরপর আর কোনো রান যোগ না করেই আউট হয়ে যান। লিটনও ৮ রান করে ফিরে গেলে ৬৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে একটু বিপদেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ৬৩ রানেই মুশফিক ২২ রান করে আউট হয়ে গেলে আরেকটি বিপর্যয় অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশের জন্য।
সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন সাকিব। প্রথমে মাহমুদউল্লাহর সাথে পঞ্চম উইকেটে গড়েছেন ৫৭ রানের জুটি। দলের ১২০ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে যাওয়ার পরেই আসে ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা সময়। ষষ্ঠ উইকেটে সাকিব ও সাব্বির ৭৬ রান যোগ করেছেন ১১ ওভার তিন বলেই। তার আগেই সাকিব পেয়েছেন ফিফটি। সাকিব ৬৮ রানে আউট হওয়ার পর ফিফটি পেয়েছেন সাব্বিরও।
তবে সাব্বিরও ইনিংসটা ৫১ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে মাশরাফির ১৩ বলে ১৭ রানের কল্যাণে আড়াইশ রান পেরিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাইফ উদ্দিন।