রঙিন পোশাকে অন্য বাংলাদেশ?
সাদা পোশাকে কালো দাগটা এখনো পুরোপুরি যায়নি। এর মধ্যে অবশ্য পেরিয়ে গেছে দশ দিনেরও বেশি। মুশফিকুর রহিম থেকে ব্যাটনটা নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাময়িক বিশ্রাম শেষে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসানও। সবকিছু ঠিক থাকলে তামিম ইকবালকেও পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। ভেন্যুটাও বদলে যাচ্ছে, ব্লুমফন্টেইন থেকে হীরের শহর কিম্বার্লিতে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এত কিছুর সঙ্গে ভাগ্যটাও কি একটু বদলাবে বাংলাদেশের? রোব বারের প্রথম ওয়ানডের আগে এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে হবে বাংলাদেশকে।
ওয়ানডের বাংলাদেশে গত দুই বছর ধরেই দিন বদলের গান। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সর্বশেষ দ্বৈরথের স্মৃতিটাও প্রেরবণা দিতে পারে মাশরাফিদের। প্রথম ম্যাচে হারের পর শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ হয়েছিল বাংলাদেশেরই। এরপর অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৫০ ওভারের ম্যাচে আর দেখা হয়নি। মঞ্চটা যখন দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন অবশ্য অতীত বাংলাদেশকে কোনো সুখস্মৃতি দেখাতে পারছে না। এখানে সাত ওয়ানডে খেলে একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ইস্ট লন্ডনের সর্বশেষ ম্যাচটা অবশ্য পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
তবে চাইলে বাংলাদেশ একটু উন্নতির রেখা খুঁজে নিতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম চার ওয়ানডেতে একবারও ২০০ পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ২০০৮ সালের সর্বশেষ সফরে দুবারই পেরিয়েছে ২০০। সেই দলের সাকিব, মুশফিক, তামিম, ইমরুল, মাশরাফিরা আছেন এবারও। তবে এবার লড়াই করা তো বটেই, অন্তত একটি ম্যাচও জিততে না পারলে ওয়ানডের বাংলাদেশের জন্য সেটা হবে ব্যর্থতাই।
সাকিব আল হাসান অবশ্য কাল এসে মনে করিয়ে দিয়ে গেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজেদের মাটিতে হারানো হবে অনেক কঠিন। তবে ভেন্যুটা যখন কিম্বার্লি, বাংলাদেশের জন্য একটু হলেও আছে আশার আলো। এখানে সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দুই ওয়ানডেতেই হেরেছে আফ্রিকা। দুই ম্যাচের চার ইনিংসেই রান হয়েছে আড়াইশর বেশি, শ্রীলঙ্কা তো ২৯৯ তাড়া করেই জিতেছিল। ইমরান তাহিরও যেমন কদিন আগে বলেছেন, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছ থেকে বড় চ্যালেঞ্জ আশা করছেন। কিন্তু টেস্টের ধাক্কাটা সামলে কি বাংলাদেশ রঙিন পোশাকে স্বরূপে ফিরতে পারবে?