'মিডল অর্ডারের কারও বড় ইনিংসের দরকার ছিল'
প্রথম ৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৯২, হাতে তখনো আট উইকেট। কিন্তু শেষ ১১ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারল মাত্র ৮২ রান। আশা জাগিয়েও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারতে হলো ২০ রানে। সৌম্য সরকার বলছেন, মিডল অর্ডারে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত।
শুরুতে ইমরুল কায়েস আউট হয়ে যাওয়ার পর সৌম্য আর সাকিব মিলেই আশা দেখাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু সৌম্য ছাড়া স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের আর কেউই রান পেলেন না। তিন থেকে ছয় পর্যন্ত সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বিরের কেউই ২০ রানও পার করতে পারলেন না। সৌম্য বলছেন, তাঁদের কারও শেষ পর্যন্ত থাকা দরকার ছিল, ‘তিন থেকে ছয় পর্যন্ত কারও শেষ ১০ ওভারে একটা বড় ইনিংস খেলার দরকার ছিল। শেষ ১০ ওভারে একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকলে আমাদের জন্য কাজটাও অনেক সহজ হজতো। ওরা ২০০র কাছাকাছি করেছে, কিন্তু আমরাও ১৭৫ করেছি। তবে এই পারফরম্যান্স আমাদের অনুপ্রাণিত করবে, আমরাও ২০০ রান করতে পারব।’ টি-টোয়েন্টিত্রে এখনও ২০০ রান করা হয়নি বাংলাদেশের, সর্বোচ্চ ১৯০। ১৭৫ রানের বেশিই করতে পেরেছে শুধু তিন বার।
সৌম্যর জন্য অবশ্য কালকের ৪৭ রানের ইনিংসটা খুব করেই দরকার ছিল। সিরিজের শেষে এই প্রথম দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, একটুর জন্য পাননি প্রথম ফিফটি। তামিম চোট পেয়ে মাঠের বাইরে না থাকলে এই সুযোগটাও হয়তো পেতেন না।
তবে বাকি যারা সুযোগ পেয়েছেন, প্রশ্ন উঠেছে তাদের নিয়েও। চার পেসার নিয়তে নামলেও রুবেল ছাড়া বাকি সবাই ভুগেছেন, দুই স্পিনার মিরাজ-সাকিবই ছিলেন উজ্জ্বল। সৌম্য এই ব্যাপারটা দেখছেন অন্যভাবে, ‘নেতিবাচক জিনিস নিয়ে কথা বলতে চাইলে বলতেই পারেন। একজন বোলার কম নিয়ে নেমে বোলিং ভালো হলে আমরা বলতাম, বাড়তি একজনকে খেলানো উচিত ছিল। এখন ব্যাটসম্যানরা ভালো করেছে বলে বলছি আমাদের আরেকজন ব্যাটসম্যানের দরকার ছিল। এসব চাহিদার তো কোনো শেষ নেই।’
ডট বল যে একটা সমস্যা, তাও স্বীকার করলেন, ‘ডট বল একটা সমস্যা। এটা আমাদের কমাতে হবে। এমনকি ফিল্ডিং ভালো করলে আর চার হয়ে যাওয়া নো বল না দিলেও ওরা ২০ রান কম করত। ম্যাচ তখন অন্যরকম হতো।’