• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    দুঃস্বপ্নের শেষ হলো মিলার-ঝড়ে

    দুঃস্বপ্নের শেষ হলো মিলার-ঝড়ে    

    দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ২২৪/৪ (মিলার ১০১*, আমলা ৮৫; সাকিব ২/২২)

    বাংলাদেশ ১৮.৩ ওভারে ১৪১ (সৌম্য ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ২৪, সাইফ উদ্দিন ২৩; ডুমিনি ২/২৩, ফাঙ্গিসো ২/৩১ )

    ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৩ রানে জয়ী


    আগের ম্যাচে তাও একটু লড়াই করেছিল। শেষ ম্যাচে এসে তাও করতে পারল না। ৮৩ রানের পরাজয়ে শেষ হলো দুঃস্বপ্নের সিরিজ শেষ হলো বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরতে হলো শুন্য হাতেই।

    ম্যাচের ব্যবধানটা লেখা হয়ে গিয়েছিল আসলে প্রথম ২০ ওভারে। ডেভিড মিলারের অমন ঝড়ের পর আসলে ফল নিয়েও কোনো সংশয় থাকে না। অথচ মিলার আউট হতে পারতেন শুন্য রানেই। রুবেলের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন গ্লাভসে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে হাত দিয়েও ধরতে পারেননি ডেভিড মিলারের ক্যাচ।  মিলার তখনো কোনো রান করতে পারেননি। এরপর যা করলেন, তাতে মুশফিকের ওই মিসের জন্য অনেক দিন আফসোস করবেন। মাত্র ৩৫ বলেই সেঞ্চুরি করেছেন মিলার, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন।

    অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১৬০ পর্যন্ত যাওয়াও কঠিন হবে। মিলার যখন ক্রিজে, ৯.৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৭৮। সেখান থেকে মিলার জীবন পেয়ে যে ঝড় শুরু করলেন, ক্রিকেট ইতিহাসেই তা দেখেছে কম। সবচেয়ে বেশি তোপ গেছে সাইফ উদ্দিনের ওপর দিয়ে, তাঁর এক ওভার থেকেই ৩১ রান নিয়েছেন মিলার। প্রথমক পাঁচ বলে পাঁচ ছয়ের পর শেষ বলে আর ছয় হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টিতে রিচার্ড লেভির ৪৫ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অনায়াসেই।

    অথচ শুরুতে কী দারুণ করছিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ওপেনিং স্পেলটা ছিল দুর্দান্ত, মোশেলের পর বোল্ড করেছেন ডুমিনিকেও। ডি ভিলিয়ার্স বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন, কিন্তু ২০ রান করে সাইফ উদ্দিনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন ইমরুল কায়েসকে। তখনও অবশ্য ২০০ রানও অনেক দূরের পথ বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু মিলারের জন্য সেই অসম্ভবই হয়ে গেছে সম্ভব।

    ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা অন্তত আশা জাগানিয়াই ছিল। প্রথম বলেই চার মারলেন ইমরুল, ওই ওভারেই এলো ১৬ রান। কিন্তু সেই ট্রেলার বলেনি, বাংলাদেশের জন্য সামনের ছবিটা শুধুই ধূসর।

    পরের ওভারেই ইমরুল রান আউট হয়ে যান। সাকিব ক্রজে এলেন, ডুমিনিকে মারতে গিয়ে বোল্ড হলেন ২ রানে। মুশফিক আরও একবার টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে আলাদা কিছু প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন, ফ্রিলিঙ্কের বলে ফিরে গেলেন ২ রান করে। অন্যদিকে সৌম্য সুযোগ পেলেই রান করছিলেন, কিন্তু সাব্বির ৫ রানে ডুমিনির বলে আউটে আরও বিপদে ফেলে দিয়ে যান দলকে।

    এরপর মাহমুদউল্লাহ-সৌম্য মিলে একটু পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেন। সৌম্য নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি পাবেন বলে যখন মনে হচ্ছিল, তখনই ফিরে গেলেন ৪৪ রান করে। প্রথম ম্যাচের মতো আরও একবার কাঁটা পড়লেন চল্লিশের গেরোতে।

    বাংলাদেশের জন্য বাকি গল্পটা শুধু আসা যাওয়ার। এর মধ্যে মাহমুদউল্লাহর ২৪ ও সাইফের ২৩ পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে।