'২-১ বছরের মাঝেই টি-টোয়েন্টি দল খুঁজে পাব'
টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, সব ফরম্যাট মিলিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা রীতিমতো বিভীষিকা ছিল বাংলাদেশের। টেস্ট, ওয়ানডেতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, শেষ শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র, উর্ধ্বমুখী গ্রাফটা দিক পরিবর্তন করলো যেন পুরো উল্টোদিকে। একটা কারণ নয় নিশ্চয়ই এর পেছনে, কিন্তু হাবিবুল বাশার সুমন নিজেও খুঁজছেন এ প্রশ্নের উত্তর।
সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক এখনও বুঝেই উঠতে পারছেন না, আসলে সেখানে হলো কী, ‘এ প্রশ্নটা আমার নিজেরও। তবে এটা বাংলাদেশের ক্রিকেট না। আমরা আরও ভাল খেলতে পারি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সব মিলিয়েই কঠিন টুর্নামেন্ট ছিল। সেখানেও আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। ওসব টুর্নামেন্টে সবাই ভাল প্রস্তুতি নিয়ে আসে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই-একটা ম্যাচে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছে। আমরা আসলে কেন এমন খেললাম সেটা আমি নিশ্চিত না। তবে একটা জিনিস এখন করা উচিৎ হবে না, একে অপরকে দোষারোপ করা। সেটা ভবিষ্যতের জন্য ভাল হবে না। কিছু একটা কারণ তো আছেই। এমন না ব্যাটিং বা বোলিং একটা খারাপ হয়েছে, সব মিলিয়েই খারাপ খেলেছি আমরা।’
আফ্রিকা সিরিজের ইতি ঘটেছে টি-টোয়েন্টি দিয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘অস্বস্তির’ ফরম্যাট যেটা। টি-টোয়েন্টিতে ভাল করতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলকেই সবেধন নীলমণি ভাবছেন সুমন, ‘আমরা পিছিয়ে আছি এ ফরম্যাটে। টেস্ট বা ওয়ানডেতে খারাপ করছি না। আসলে আমরা টি-টোয়েন্টি খুব বেশি খেলি না। সাকিব (আল হাসান) ছাড়া তো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলার খুব বেশি সুযোগ হয় না সেভাবে কারও, আমরা শুধু বিপিএলই খেলি। আর এখন এ ফরম্যাটকে উপেক্ষা করার মতো কিছু নেই। সামনে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি আছে। প্রতি সিরিজেই টি-টোয়েন্টি থাকে। যেহেতু ছেলেরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বেশি খেলতে পারে না, এটাই (বিপিএল) একমাত্র সুযোগ। আর এটা বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট। অনেক ভাল বিদেশী ক্রিকেটাররা আসেন। অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা যায়, এটা কাজে আসবে। বিপিএল নিয়মিত করতে পারলে আমরা আগামী এক দুই বছরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি দলটা খুঁজে পাব।’
বাংলাদেশে তিন ফরম্যাটে এখন তিন অধিনায়ক, এ ব্যাপারকেও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুমন, ‘অধিনায়কত্ব সাংঘর্ষিক হবে না। অধিনায়কত্ব তো আসলে একজন ক্রিকেটারের জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়। তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করলে বরং চাপ থাকে, নিজের খেলা নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ কমে যায়। এখন সে চাপটা থাকবে না।’
আর দলে জবাবদিহিতার কোনও ঘাটতি নেই বলেও মনে করে দিয়েছেন তিনি, ‘জবাবদিহিতার জায়গা তো আছে। আমরা যারা কাজ করি, হয়তো জনগণের কাছে না, কিন্তু একটা না একটা জায়গায় তো জবাবদিহি করতেই হয়। এখন কাজ হলো ভুল খুঁজে বের করতে হবে, সামনের দিনে সেগুলো কাজে লাগাতে হবে।’