• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মোরাতার গোলে কপাল পুড়ল মরিনহোর

    মোরাতার গোলে কপাল পুড়ল মরিনহোর    

    দলবদলের মৌসুমের শুরু থেকেই আলভারো মোরাতাকে কেনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গুঞ্জন অন্তত তেমনটাই ছিল। পরে মোরাতাকে গেছেন চেলসিতে। আর চেলসির লক্ষ্য রোমেলু লুকাকু পাড়ি জমিয়েছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে। বেলজিয়ান স্ট্রাইকার পারেননি। আরও এক ম্যাচ থেকেছেন গোলশুন্য। কিন্তু অন্যপাশের স্প্যানিশ স্ট্রাইকারই ম্যাচে গড়ে দিয়েছেন ব্যবধান। মোরাতার একমাত্র গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসি।


    স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ফেরাটা তাই এবারও মনে রাখার মতো হল না হোসে মরিনহোর। চেলসির কাছে হেরে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে আরও পিছিয়ে পড়েছে  মরিনহোর দল। দুই দলের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ৮। টটেনহাম হটস্পার্সের চেয়ে কেবল গোল গড়ে এগিয়ে থেকেই দুইয়ে আছে ইউনাইটেড।




    ঘরের মাঠে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল চেলসির। আন্তোনিও কন্তের দল জিততে পারত আরও বড় ব্যবধানেই। প্রথমার্ধটা গোলশূন্য ছিল আসলে চেলসির সহজ সুযোগ নষ্ট করার জন্যই। তাতে অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্তও বড় ভূমিকা পালন করেছে। ডান দিকে আসা ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পেরে নিজের জালেই ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন ফিল জোন্স। আত্মঘাতী গোলে এগিয়েই যেতে পারত চেলসি, কিন্তু রেফারির চোখে ধরা পড়েছে ফাউল। রিপ্লেতে অবশ্য মোরাতার অঙ্গভঙ্গি দেখে তেমনটা মনে হয়নি।  

    এর পর এডেন হ্যাজার্ড, ফ্যাব্রিগাসরা গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে প্রথমার্ধে গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগটা এসেছিল চেলসি মিডফিল্ডার তিয়েমো বাকায়েকোর কাছে। গোল করার মতো জায়গা থেকে তিনি শট করেছেন বারপোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে। চেলসির আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকা ইউনাইটেড প্রথমার্ধে বলার মতো তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের ডিবক্সের ভেতর পায়ে বলই লাগাতে পেরেছিল মাত্র একবার! 

    দ্বিতীয়ার্ধেও অবস্থার উন্নতি হয়নি মরিনহোর দলের। গোলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া চেলসিই সুযোগ তৈরি করছিল একের পর এক। ৫৩ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা বল খুঁজে পেয়েছিল মোরাতাকে। ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। কিন্তু তার নেওয়া ভলি সোজাসুজি চলে যায় ডেভিড ডি গিয়ার হাতে। এর এক মিনিট পর অবশ্য আর ভুল করেননি মোরাতা। এবার বল এলো ডান দিক থেকে। সিজার আজপিলিকুয়েতার ক্রস থেকে হেড করে এগিয়ে দিলেন চেলসিকে। হেড দিয়ে গোল করাটা যেন অভ্যাসেই পরিণত করেছেন মোরাতা। ২০১৬/১৭ মৌসুমের পর থেকে ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগে মোরাতার চেয়ে বেশি হেড দিয়ে গোল করেননি কেউই।


    ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে কৌশল বদলান মরিনহো। মারুয়ন ফেলাইনি ও অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে নামিয়ে দেন কিছুক্ষণ পরই। বদলি হয়ে খেলতে নেমে আজ নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন মার্শিয়াল। কিন্তু ইউনাইটেডের হয়ে গোল করার সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ফেলাইনি। ৯০ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর বুক দিয়ে বল নামিয়ে দারুণ এক শট করেছিলেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। কিন্তু থিবো কোর্তোয়ার দৃঢ়তায় গোল হজম করতে হয়নি চেলসিকে। এর আগে ফেলাইনির দুটি ভুল থেকে সুযোগ কাজে লাগালে চেলসির জয়ের ব্যবধানটা বাড়াতে পারতেন বাকায়োকো, মোরাতারাও।