• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    ২০ বছর পর বিশ্বকাপে মরক্কো

    ২০ বছর পর বিশ্বকাপে মরক্কো    

     

    শেষ বাঁশি বাজার তখনও অনেকটা সময় বাকি। মরক্কো ডাগআউট ও দর্শকসারিতে এরই মাঝে শুরু হয়ে গেছে বিজয় উল্লাস। মাঠের ফুটবলারদের চোখেমুখেও সেই উল্লাসের ছাপ ছড়িয়ে পড়ল। প্রতি মিনিটেই বাড়তে লাগল মরক্কো ভক্তদের 'গর্জন'। রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে শুরু হলো বাঁধভাঙ্গা আনন্দ। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে আইভরি কোস্টকে ২-০ গোলে হারিয়ে ২০ বছর পর বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে মরক্কো।

     

     

     

    বিশ্বকাপে পৌঁছানোর জন্য ড্রই যথেষ্ট ছিল মরক্কোর জন্য। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ আসে মরক্কোর সামনে। হাকিম জিয়েচের শট ঠেকিয়ে দেন আইভরি কোস্ট গোলরক্ষক। ১৭ মিনিটে আইভরি কোস্টের গারবিনহোর দারুণ এক শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।

     

    ২৫ মিনিটে মরক্কোকে এগিয়ে দেন নাবিল দিরার। জিয়েচের পাসে ডি বক্সের অনেকটা বাইরের বল পান দিরার, চোখ ধাঁধানো শটে বল জালে জড়ান। ৫ মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেধি বেনাতিয়া। এমবারক বসউফার নেওয়ার কর্নার থেকে বল পান বেনাতিয়া, ডান পায়ের জোরালো শট ঠেকানোর কোনো উপায় ছিল না গোলরক্ষকের।

     

    দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত মরক্কো। ৫৯ মিনিয়ে জিয়েচ, ৬৯ মিনিটে নরদিন আমরাবাট বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হলেও খুব একটা ক্ষতি হয়নি দলের। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছে মরক্কো। এই বাছাইপর্বে একটিও গোল খায়নি হারভে রেনারদের মরক্কো। তাঁদের জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপে যাওয়া হলো না আইভরি কোস্টের।    

     

     

    মরক্কোর জয়ের দিনে বিশ্বকাপের টিকেট পেয়েছে আরেক আফ্রিকান দল তিউনিসিয়া। লিবিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করে রাশিয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছে তিউনিসিয়া। মরক্কোর মতো তাঁদেরও শেষ ম্যাচে ড্র করলেই চলতো।

     

    তবে জয়ের বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল। লিবিয়া গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাসনুশের দারুণ কিছু সেভে গোল পাওয়া হয়নি। ইউসুফ সাকনি, অ্যানিস বাদ্রি, গিলান চালানি; তিউনিসিয়ার প্রায় সব ফরোয়ার্ডের শটই দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন নাশনুস। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। গ্রুপের শীর্ষে থেকে ২০০৬ সালের পর আবারো বিশ্বকাপে খেলবে তিউনিসিয়া।