• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    পরীক্ষা দিয়েই স্কুলে ভর্তি হয়েছি : সৌম্য

    পরীক্ষা দিয়েই স্কুলে ভর্তি হয়েছি : সৌম্য    

    শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজটা শুধু নতুন বছরের বাংলাদেশের প্রথম সিরিজই নয়, বেশ কিছু দিক দিয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে তাদের। নতুন কোচ এখনও আসেননি, খালেদ মাহমুদ ও কোচিং স্টাফ দিয়েই তাই কাজ চালিয়ে নিবে বাংলাদেশ। নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছেন ওপেনার সৌম্য সরকারও। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থাকতে 'গুঞ্জন' ছিল, কোচের একটু ‘বাড়তি’ পছন্দের ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। হাথুরুসিংহে এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। তবে দলে থাকা না থাকার পুরোটাই পারফরম্যান্সের ওপর বলেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন সৌম্য। 

    ‘আমি যদি ভাল খেলি আমি দলে থাকব। কে পছন্দ করে না করে এসব তো জানি না। অনেক মানুষেরই কথা থাকতে পারে। কারণ একটা ক্লাসে স্যার সবাইকে পছন্দ করে না। যাকে পছন্দ করে না সে পেছনে গিয়ে লাগতেই পারে। আমি যদি ভাল না খেলতাম আমি দলেও আসতাম না, আমাকে পছন্দও করত না। আমি যদি স্কুলেই ভর্তি না হই সে আমাকে কিভাবে পছন্দ করবে। স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য তো আমাকে পরীক্ষা দিতেই হবে। পরীক্ষা তো যখন ভাল করেছিলাম তখন কোচ পছন্দ করছে।’

    তবে বছরটা ঠিক ভাল হয়নি সৌম্যর। নিজেই বলছেন, নিজের চাওয়াটাই পূরণ করতে পারেননি, ‘একেকজনের চাওয়া একেকরকম হয়। আমার যে চাওয়া ছিল সেটা আমি পূরণ করতে পারিনি। হয়ত মানুষের যে চাওয়া ছিল সেটাও সবাই পুরোপুরি পায়নি। নিজের লক্ষ্যটা যদি নিজে পূরণ করতে না পারি তাহলে তো বলা যায় না যে বছরটা ভাল গেছে। চেষ্টা করব আগামীতে নিজের লক্ষ্যটা পূরণ করতে। এবং মানুষের যে চাওয়া সেটাও চেষ্টা করব পূরণ করতে।’

     

     

    সৌম্যর নিজের কাছে বড় সমস্যা মনে হচ্ছে থিতু হয়ে যাওয়ার পর আউট হওয়াটা, ‘সমস্যাটা হচ্ছে ৩০-৪০ রানে। আমি যদি দিনশেষে ৩০-৪০ রানের ইনিংসগুলোতে ৫০ করে আউট হতাম তাহলে সবাই বলত সৌম্য ফর্মে আছে। ৩০-৪০ এ আউট হয়ে যাওয়ায় সবাই বলছে যে সে সেট হয়ে আউট হয়ে যাচ্ছে। ’

    তবে দলের জন্য চিন্তা করেন বলে এমন হতে পারে বলেও ধারনা তার, ‘অনেকের শুরু থেকেই সমস্যা হয়। আমি হয়ত ৩০ রান করছি, কিন্তু তারপর দলের কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। ওই সময় যদি আমি ধীরগতির হয়ে যাই দলের গতিও ধীর হয়ে যাবে। আমি কেবল নিজের জন্য খেললে হয়ত এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু দলের চিন্তা করে খেললে একটু কঠিন হয়ে যায়।’

    তবে ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন নতুন বছরে, ‘অবশ্যই ভুল থেকেই শিক্ষা আসবে। আমার যেটা হচ্ছে নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না। একেকদিন একেকভাবে আউট হচ্ছি। হয়ত পরিকল্পনা করতে গিয়ে। হয়ত নিজেই চিন্তা করছি ৩০ হয়ে গেছে। এরকম কোন কিছু কিনা আসলে বের করতে হবে।’

    ‘বিপিএলটা কিন্ত খারাপ গেছে। আবার (আপনারাই) বলছেন এই বছর টি-টোয়েন্টিতে আমার রান বেশি। চিন্তা হচ্ছে নিজেকে নিজে খুশি করা। তার জন্য অনুশীলনও বেশি করছি। এতদিন তো ব্যাটিং করলাম। ফিটনেসের দিকেও নজর দিচ্ছি, যে ফিটনেসেও কোন ঘাটতি আছে কিনা। নিজের পরিকল্পনা নিজেই বদলিয়ে দেখছি যে কোন দিক থেকে বেরুতে পারি।’

    ২০১৭ সালে ৭ টেস্টে ৩২.২১ গড়ে ৪৫১ রান করেছেন সৌম্য, সর্বোচ্চ ৮৬। ১২ ওয়ানডেতে ২৪.৩০ গড়ে ২৪৩ রান, এখানে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৭। আর ৭ টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ২৩৫ রান, গড় ৩৩.৫৭, স্ট্রাইক রেট ১৫৬.৬৬, সর্বোচ্চ ৪৭।