• দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    ১৮ উইকেটের দিনে দঃ আফ্রিকারই জয়

    ১৮ উইকেটের দিনে দঃ আফ্রিকারই জয়    

    ১ম টেস্ট, কেপটাউন 
    টস- দক্ষিণ আফ্রিকা (ব্যাটিং) 
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ২৮৬ (ডি ভিলিয়ার্স ৬৫, ডু প্লেসি ৬২, ভুবনেশ্বর ৪/৮৭, আশ্বিন ২/২১) ও ২য় ইনিংস ১৩০ (ডি ভিলিয়ার্স ৩৫, মার্করাম ৩৪, শামি ৩/২৮, বুমরাহ ৩/৩৯) 
    ভারত ১ম ইনিংস ২০৯ (পান্ডিয়া ৯৩, পুজারা ২৬, ফিল্যান্ডার ৩/৩৩, রাবাদা ৩/৩৪) ২য় ইনিংস ১৩৫ (আশ্বিন ৩৭, ফিল্যান্ডার ৬/৪২) 
    ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৭২ রানে জয়ী 


    এক সেশনে ৬৫ রানে ৮ উইকেট, ভারতকে উজ্জীবিত করতে পারতো সেটা। ডেল স্টেইন বোলিং করতে পারবেন না, ভারতকে মানসিকভাবে একটু এগিয়ে রাখতে পারতো সেটাও। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা অনুপ্রাণিত হতে পারলেন না কিছুতেই। নিউল্যান্ডসের পিচ বরং ‘আয় আয়’ বলে যেন ডাকলো ভারনন ফিল্যান্ডারকে। তার অফস্টাম্পের বাইরে করা বলে থাকল তীক্ষ্ণ মুভমেন্ট। সে মুভমেন্টে সাড়া দিতে গিয়ে ভারতীয়রা ফিরলেন একের পর এক, ২য় সেশনে ৮২ রানে ৭ উইকেট নিল আফ্রিকা। যে ৩ উইকেট বাকি ছিল, ফিল্যান্ডার সেটা নিলেন এক ওভারেই। কেপটাউন টেস্ট চললো কার্যত তিনদিন, দক্ষিণ আফ্রিকা সেটা জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০তে। 

     

     

    নিউল্যান্ডস এদিন হাজির হয়েছিল বোলারদের জন্য সবরকম সহায়তা নিয়ে। গতকাল ভেসে গিয়েছে বৃষ্টিতে, কাভারের নিচে থাকা পিচ থেকে বোলাররা আদায় করলেন বাড়তি সুবিধা। শুরুতে মোহাম্মদ শামি ও জাসপ্রিত বুমরাহ পেয়েছেন মজা। দুজনই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। হাশিম আমলাকে দিয়ে শুরু, শরীর থেকে দূরে দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে দিয়েছেন ক্যাচ। এরপর এক এবি ডি ভিলিয়ার্স ছাড়া সব আফ্রিকান ব্যাটসম্যানই যেন নিউল্যান্ডসের উইকেটে ছিলেন এলিয়েনের মতো। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স, আফ্রিকার লিড তখন ২০৭ রান। সংখ্যাটা খুব বড় নয়, তবে এই উইকেটে সেটা বেশ বড়ই।  

    ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে ছিল কঠিন এক লড়াই। সেটা সবচেয়ে বেশি করলেন রবি আশ্বিন। শিখর ধাওয়ান, মুরালি বিজয়, চেতেশ্বর পুজারা- ৩৯ রানের মাঝেই ফিরেছেন ৩ জন। এরপর ভারতের সবচেয়ে বড় উইকেট- কোহলি। অফস্টাম্প আগলে রেখেছিলেন, অফস্টাম্পের বাইরের লাইন নিয়েও ছিলেন অতি সতর্ক। ফিল্যান্ডার সুযোগ নিলেন সেটারই, ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এবার বোকা বনলেন কোহলি। রিভিউ নিয়েছিলেন- তবে যে উইকেটের আবেদনে ফিল্যান্ডার করেছেন শুধুই উদযাপন- সেটাতে বাঁচেননি কোহলি। 

    শেষ আশা হয়ে ছিলেন ওই আশ্বিন। তার বিপক্ষে সামনে এসে কিপিং করছিলেন কুইন্টন ডি কক, কাট করতে গিয়ে ধরা খেলেন সেখানেই। ঘাতক ফিল্যান্ডার। আশ্বিন বাধা পার হয়ে ফিল্যান্ডার লেজ ছেঁটে দিতে সময় নিলেন আর ৩ বল। ৪২ রানে ৬ উইকেট তার, ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। 

    তার এমন বোলিংয়ের সঙ্গে ‘সেরা’ শব্দটা না থাকলেই আসলে বেমানান হয়ে পড়ে যেন তা!