• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    'শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা ফাইনালের আগে ইতিবাচকই'

    'শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা ফাইনালের আগে ইতিবাচকই'    

    এর আগে ‘বহুজাতিক’ টুর্নামেন্টের তিনটি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটিই মিরপুরে। ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১২ সালে এশিয়া কাপ ও ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি- তিনবারই বেশ হিসাব নিকাশ মিলিয়ে ফাইনাল খেলতে হয়েছিল। সে তুলনায় এ সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই। কিন্তু জ্বলজ্বলে সব পারফরম্যান্সে বেশ একটা আঁধারি হয়ে খেলা করছে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শেষ ম্যাচটা। ফাইনালের আগে তাই ঘুরেফিরে আসছে সেই ম্যাচ। আগের তিন ফাইনালের একটিতেও জেতেনি বাংলাদেশ, এবার কি বদলাবে সেটা? নাকি বাধা হয়ে দাঁড়াবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এই ব্যাটিং দুর্দশার ভূতই! 

    মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন ঠিক উল্টোটা, গত ম্যাচের পারফরম্যান্স বরং সাহায্যই করতে পারে তাদের, ‘ফাইনাল ম্যাচে জেতার জন্য আমরা উদগ্রিব হয়ে আছি। এটা সত্যি কথা। প্রথমবারের মতো হবে যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। তবে এটা হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশি চিন্তা করলে চাপ এসে দাঁড়ায়।’

    ‘ফাইনাল ম্যাচে চাপ থাকেই। কাল জিতলেও থাকত। আমার কাছে মনে হয় কালকে হারার কারণে আরও চাপটা কমে যাওয়ার কথা। কাজেই একটা চাপ থাকে, ওটা থাকবেই। সব কিছু নির্ভর করছে কেমন শুরু করব তার ওপর। কালকে প্রথম ১০ ওভারেই কিন্তু খেলা ওদের দিকে চলে গিয়েছিল, যেখান থেকে আমরা ফিরে আসতে পারিনি। এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, বুদ্ধি করে যেন খেলতে পারি। এই পরিস্থিতিগুলা সামলানোই কঠিন হবে। যারা স্নায়ুচাপ সামলাবে, তারাই এগিয়ে থাকবে।’

    গত ম্যাচের পারফরম্যান্স চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে বলেও ধারণা তার, ‘যেভাবে আমরা হেরেছি ওটা অবশ্যই আমদের জন্য খুব স্বস্তির বিষয় ছিল না । আর হ্যাঁ, ফাইনালের আগে এমনিতেই চাপ থাকবে। ফাইনালের আগে হারায় ওইদিক থেকে সমতায় এসেছে। সবাই মাঠে আরেকটু চিন্তায় থাকতে পারবে এখন। এটাকে আমি ভালোভাবে দেখি কারণ এতে সবাই আরও সতর্ক থাকবে। মানুষ সব সময় চায় না “আয়েসি” থাকতে। এটা কিন্তু অনেক সময় পারফর্ম করতে অসুবিধাও করে।’

    ‘চিন্তিত থাকা অনেক সময় কাজে দেয়। এই দিক থেকে কালকের হারটা আমাদের কাছে ইতিবাচক হিসেবে এসেছে। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবাই প্রত্যাশা করছিল যে আমরা সব ম্যাচই জিতব। আমি বলে আসছিলাম, এরকম টুর্নামেন্টে যেকোন দলেরই ‘আপস-ডাউন’ থাকতে পারে। কালকে একটা বাজে দিন গিয়েছে, আমি চাই না যে এটা নিয়ে আমার দলে খুব বেশি আলোচনা হোক।’

     

     

    সে আলোচনার জন্য অবশ্য খুব বেশি সময় নেইও। একদিন বিরতি দিয়েই ফাইনাল। মিরপুরের ফাইনাল গেঁরোটা যে বেঁধেই আছে এখনও, মাশরাফি ভাবতে চান না সেটাও, ‘এটা আসলে আমার মাথায় ছিল না। মনে না করালেই পারতেন। এটা আসলে প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই নতুন সুযোগ। আমি হয়তো তিনটা ফাইনালে ছিলাম, মুশফিক ছিল, সাকিব ছিল, তামিমও ছিল হয়তোবা। তো এটা আমাদের জন্য নতুন আরেকটা সুযোগ। কালকে সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ। তো আগের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবার দরকার মনে করছি না।’

    মাশরাফি নাইবা ভাবুন, বারবারই বলছেন শুরুটা ভাল হতে হবে। এবং এটাও চাইছেন, ‘তবে হারজিত তো থাকবেই, একদল জিতবে আর একদল হারবে। এটা নিয়ে না ভেবে আমার মনে হয় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা আর প্রথম তিনটা ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, গতকালকের ম্যাচেও যে “মাইন্ড সেট-আপ” নিয়ে খেলেছি সেটাই থাকুক। হয়তো যেটা প্রত্যাশা ছিল, সেটা হয়তো মাঠে করে দেখাতে পারিনি। ওইটা আবার না হলেই হয়।’

    ফাইনালের আগে তাই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স মিশে গিয়েও যাচ্ছে না। তবে সেটা ভুলিয়ে দিতে পারে ফাইনালটিই। আগের তিনবার যে শিরোপাটা আসেনি বাংলাদেশের কাছে, সেটাই যদি আসে এবার!