• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রেফারির এমন সিদ্ধান্ত কেন?

    রেফারির এমন সিদ্ধান্ত কেন?    

    আগের সপ্তাহে এফএ কাপে লিভারপুলের ম্যাচটাই জন্ম দিয়েছিল অনেক প্রশ্নের। ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারির দরকার আদৌ আছে  ফুটবলে? অভিযোগ ছিল সিদ্ধান্ত নিতে রেফারির সময় অপচয় করা নিয়ে। সাত দিন পর প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য ছিল না ভিএআর প্রযুক্তি। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও হয়েছে সমালোচনা। এবার ভিএআর এর পক্ষেই জনমত বেশি। 

    গতকাল লিভারপুল-টটেনহাম হটস্পার ম্যাচে দুইবার পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারি। লাইনসম্যানের সাথে রেফারির সমণ্বয়হীনতাটা বোঝা গিয়েছিল মাঠেই। ভিএর থাকলেও কি রেফারির সিদ্ধান্ত বদলে যেত? 

    ৮৪ মিনিট... 

    হ্যারি কেইনকে ডিবক্সের ভেতর ফেলে দিলেন লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস ক্যারিয়াস। পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল রেফারির। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। পেনাল্টির বাঁশি বাজানোর পর লাইনসম্যানের ডাকে টাচলাইনে ফিরে যান রেফারি। সেখানেই কয়েক মিনিট চলে দুজনের কথা বার্তা।



    ড্যালে আলি পাস দেওয়ার সময় অফসাইডে ছিলেন কেইন। লাইনসম্যানের মতে পেনাল্টির বদলে অফসাইড হওয়ার কথা। কিন্তু রেফারি অনড় থাকলেন তাঁর সিদ্ধান্তেই। পরে লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপও সমালোচনা করেছেন এই সিদ্ধান্তের। 

    এ ক্ষেত্রে ভিএআর থাকলেও রেফারির সিদ্ধান্তই বহাল থাকত। আলি পাস দেওয়ার সময় লিভারপুল ডিফেন্ডার ডিয়েন লভ্রেন সেই বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তখন অফসাইডে থাকা কেইন ব্যাঘাত ঘটাননি খেলার। আসলে লভ্রেনই অনসাইডে খেলিয়েছেন কেইনকে। তাই ভিএআর থাকলেও রেফারির সিদ্ধান্তে পেনাল্টিই পেত টটেনহাম। 

          
    ৯৪ মিনিট.... 



    এরিক লামেলাকে ফাউল করে শেষদিকে আবারও টটেনহামকে পেনাল্টি পাইয়ে দেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। এই ঘটনা অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছিল রেফারির চোখ। লাইনসম্যানের কলে পরে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি। লামেলাকে ফাউলই করেছিলেন ভ্যান ডাইক। কিন্তু লামেলার পায়ে বল যাওয়ার আগে তিনিও ছিলেন অফসাইড পজিশনে। কেইনের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত না  ঘটলেও লামেলা ছিলেন খেলার অংশ। আর্জেন্টাইনের বাম পা ছিল অফসাইড পজিশনে। ভিএআর থাকলে এবার সিদ্ধান্ত বদলে যেত। নাকচ হয়ে যেত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত।