• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ডার্বিতে পার্থক্য গড়ে দিলেন কেইন

    ডার্বিতে পার্থক্য গড়ে দিলেন কেইন    

    ৯৩ মিনিটে অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত বলটা জালে জড়িয়ে ফেললে আক্ষেপের শেষ থাকত না মারুসিও পচেত্তিনোর। পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করে, প্রায় আধ ডজন নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেও ডার্বি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে চাইবেন কেন টটেনহাম হটস্পার ম্যানেজার? শেষ পর্যন্ত অবশ্য হতাশা নয়, ম্যাচ জয়ের আনন্দই সঙ্গী হয়েছে তার। ৪৯ মিনিটে হ্যারি কেইনের হেডে করা গোল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে নর্থ লন্ডন ডার্বিতে। ওয়েম্বলিতে  আর্সেনালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। 

    স্কোরলাইন অবশ্য ম্যাচে টটেনহামের আধিপত্যের কথা বলছে না। এক গোলের পরিবর্তে হ্যারি কেইন করে ফেলতে পারতেন হ্যাটট্রিক, গোলের খাতায় নাম লেখাতে পারতেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন, এরিক লামেলারাও। কিন্তু ম্যাচে গোটা চারেক দারুণ সেভ করে আর্সেনালের গ্লানি আর বাড়তে দেননি  পিটার চেক।



    ম্যাচের এসবই অবশ্য ঘটেছে বিরতির পর। প্রথমার্ধটা ছিল দুই দলের জন্যই ম্যাড়মেড়ে। নিজেদের অর্ধে যেমন তেমন, অ্যাটাকিং থার্ডে গেলেই খেই হারিয়ে ফেলছিলেন দুই দলের স্ট্রাইকাররা। ডার্বি ম্যাচের বড় আকর্ষণ ছিল কেইন আর পিয়ের এমরিক অবামেয়াং লড়াই। প্রথমার্ধে এই দুইজনই পেয়েছিলেন দারুণ দুটি সুযোগ। ২৭ মিনিটে হ্যারি কেইন ফাঁকায় থেকেও হেড করে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। আর অবামেয়াং বাধা পড়ছেন রেফারির ভুল অফসাইড সিদ্ধান্তের কাছে। হুগো লরিসের সাথে ওয়ান-অন-ওয়ানে থেকেও তাই খেলা থামাতে হয়েছে গ্যাবন স্ট্রাইকারকে।

    দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটাই বদলে দিয়েছে ম্যাচের রঙ। বেন ডেভিসের বাঁ দিক থেকে করা ক্রস থেকে এবার আর ভুল করেননি কেইন। আর্সেনালের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখানে লাফিয়ে উঠে পেয়েছেন বলের নাগাল, নিশানাও ঠিকঠাক। ৪৯ মিনিটের ওই গোলেই ঘরের মাঠে জেগে ওঠে স্পার্স। নর্থ লন্ডন ডার্বিতে ৭ ম্যাচ খেলে ৭ গোল করা কেইন আরও ভয়ঙ্কর ওঠেন ওই গোলের পর। শেষ পর্যন্ত দলের জয়ের ব্যবধান বাড়াতে না পারায় কেবল ভাগ্যকেই দুষতে পারেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। ৫২ আর ৫৪ মিনিটে দুবার সুযোগ পেয়েও বল জালে জড়ানো হয়নি কেইনের। প্রথমবার করেছিলেন হেড, চলে গেছে বাইরে দিয়ে। পরেরবার ডিবক্সের ঠিক বাইরে থেকে করা ভলি ঠেকিয়ে দিয়েছেন চেক। এরপর ম্যাচটা আসলে চেক বনাম টটেনহাম লড়াইয়ে রূপ নেয়। ৫৬ মিনিটে এরিকসনের নেওয়া দারুণ একটি ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে ম্যাচে দলকে টিকিয়ে রাখেন চেক। 

    স্পার্সের গোল মিসের সুযোগটা প্রায় কাজে লাগিয়ে ফেলেছিলেন জ্যাক উইলশেয়ার। ডিবক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বাঁ পায়ের শটের প্লেসমেন্টটাও ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু লরিস বাধা পেরুতে পারেননি।  এর ২ মিনিট পরেই অন্যপ্রান্তে লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ড্যালে আলি। ওয়ান-অন-ওয়ানে অন টার্গেটেই বল রাখতে পারেননি তিনি। ৭২ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় টটেনহাম। এবার এরিক লামেলাকেও ফিরিয়ে দেন চেক। কিছুক্ষণ পর কিয়েরান ট্রিপিয়ারকেও গোলবঞ্চিত করতেন আর্সেনাল গোলরক্ষক।

    এতোগুলো সেভ করেও শেষ পর্যন্ত চেককে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছে  হতাশ হয়েই। এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে টানা ৯ ম্যাচ ক্লিনশিট না রেখেই পার করলেন না চেক গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ের ৪ মিনিটে অবশ্য চেককে মোক্ষম উপহারটা প্রায় দিয়েই ফেলেছিলেন লাকাজেত। দুবার ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। প্রথম সুযোগটা নষ্ট করেছেন সাইড ভলি করতে গিয়ে, পরের বার তার নেওয়া শট একটুর জন্য চলে গেছে বারপোস্টের বাইরে দিয়ে।