• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বায়ার্নকে শিরোপাছাড়া করলেন নতুন বায়ার্ন কোচই!

    বায়ার্নকে শিরোপাছাড়া করলেন নতুন বায়ার্ন কোচই!    

    রুপকথার গল্পের সমাপ্তিটা হলো রোমাঞ্চ দিয়ে। আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে আজই শেষ ম্যাচ ছিল কোচ নিকো কোভাচের। গত ৩ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ডিএফবি পোকালের ফাইনালে। ফ্রাঙ্কফুর্টের প্রতিপক্ষ ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এই ম্যাচ পরেই বায়ার্নের কোচ হবেন কোভাচ। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সেই বায়ার্নকেই হারিয়ে দিল ফ্রাঙ্কফুর্ট, ৩০ বছর পর জিতলো জার্মান কাপের শিরোপা! আর বায়ার্নকে শিরোপাছাড়া করলেন সেই কোভাচই। 



    ফাইনালে বায়ার্নকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট। ১১ আর ৮২ মিনিটে আনতে রেবিচ জোড়া গোল করে দলকে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। ৫৩ মিনিটে এক গোল শোধ দিয়ে রবার্ট লেভানডফস্কিও বায়ার্নকে টিকিয়ে রেখেছিলেন ম্যাচে। সেই ম্যাচ উত্তেজনা ছড়ালো একেবারে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত। ৯৩ মিনিটে বায়ার্নের একটা পেনাল্টির আবেদন নাকচ হয়ে গেল ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারির সিদ্ধান্তে। ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় তবুও বায়ার্নের আক্রমণ, কর্নার কিক নিতে গোলরক্ষকসহ পুরো বায়ার্ন দলই ছিল ফ্রাঙ্কফুর্টের ডিবক্সের সামনে। কর্নারটা ডিবক্সের ভেতর থেকে গেলো মিয়াত গাইসিনোভিচের পায়ে। ফাঁকা মাঠ, ফাঁকা বারপোস্ট- গাইসিনোভিচ দৌড়াচ্ছেন। পেছনে পড়ে গেলেন গোলরক্ষক উলরেইখও। গাইসিনোভিচের সঙ্গে মাঠের পাশ দিয়ে দৌড়ালো সাইডবেঞ্চে থাকা ফ্রাঙ্কফুর্টের খেলোয়াড়েরাও। দৌড়াতে দৌড়াতে বায়ার্নের ডিবক্সের কাছে গিয়েই গাইসিনোভিচ বোধ হয় নিশ্চিত হলেন, আর মিস হবে না। এরপর বল ঠেলে দিলেন জালে, দৌড় দিলেন গ্যালারির দিকে। পুরো দল মাঠে ঢুকে গিয়ে ছুটল তাকে ধরতে। রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশির তোয়াক্কা না করেই উৎসব শুরু হয়ে গেল তাদের। ইতিহাস গড়া হয়ে গেছে ততোক্ষণে, বার্লিনের স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত তাই উড়ল ফ্রাঙ্কফুর্টের পতাকা। 

     

     

     

    অথচ দুই বছর আগে কোভাচ দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডুবতে বসা এক দলের। শেষ পর্যন্ত তার অধীনে প্লে-অফ খেলেই লিগে টিকে থাকে ফ্রাঙ্কফুর্ট। কিন্তু সেবারও ডিএফবি পোকালের ফাইনালে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে তার দল হেরে গিয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে। পরের মৌসুমে লিগে তার দল শেষ করলো ১১ তে। আর এবার তো ছাড়িয়ে গেলেন সবকিছু। ফ্রাঙ্কফুর্ট বুন্দেসলিগা শেষ করেছে ৮ এ থেকে। তুলনামুলক ছোট ক্লাব নিয়ে কোভাচের সাফল্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিল বায়ার্নের জন্যও। গত মাসেই নতুন কোচ হিসেবে নিজেদের সাবেক খেলোয়াড় কোভাচের নাম ঘোষণা করেছিল বায়ার্ন। সেই কোভাচই বায়ার্নের শিরোপা স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন। বিদায়ী ম্যানেজার ইয়ুপ হেইংকেস তাই দ্বিতীয়বারের মতো যখন অবসরে যাচ্ছেন, তখন তার ঝুলিতে থাকলো কেবল বুন্দেসলিগার শিরোপাটাই। তবে এবার হয়ত অবসরটা শান্তিতেই কাটাতে পারবেন তিনি, হুটহাট বায়ার্নের ডাকে আর সাড়া দিতে হবে না। এই ম্যাচেই কোভাচ তাকে সেই নিশ্চয়তাটা দিয়ে রাখলেন হয়ত!