• ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    আসার জন্য ধন্যবাদ, রশিদ!

    আসার জন্য ধন্যবাদ, রশিদ!    

    খেলানোর কথা ছিল দুই স্পিনার। কন্ডিশন বিবেচনায় ইংল্যান্ড খেলালো একজনকে। ভারতের হয়ে দুইজন স্পিনার খেললেও ইংল্যান্ডের হয়ে লর্ডসে খেললেন ওই রশিদই। তবে মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশন মিলিয়ে এমন অবস্থা, দুই ইনিংস মিলিয়ে রশিদকে একবারও বোলিংয়ে আনলেন না জো রুট! 

    রশিদ ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। একমাত্র ইনিংসে স্যাম কারানের উইকেটের পর নামার কথা ছিল তার। অনিশ্চিত আবহাওয়া, ভারতের ব্যাটিং-দুর্দশা, ইংল্যান্ড পেসারদের দারুণ বোলিং মিলিয়ে ২৮৯ রানের লিডই যথেষ্ট মনে করলেন রুট। ব্যাটিং-ও করা হলো না রশিদের। 

    এমন কন্ডিশনে স্লিপ কর্ডন ছাড়া ক্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম, যে ক্যাচ উঠবে, সেসবও যেন ক্লোজ-ইন পজিশনেই। রশিদ এমন পজিশনে ফিল্ডিং করেন না, ক্যাচও তাই গেল না তার কাছে। 

    ব্যাটিং নয়, বোলিং নয়, ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ বা রান-আউট নয়- লর্ডসে কিন্তু রশিদ খেলেছেন ঠিকই! এমন ‘কিছুই না করার’ কীর্তি রশিদ গড়লেন ১৪ বছরের মাঝে দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে। ২০০৫ সালে লর্ডসে বাংলাদেশের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে এমন ‘ভাগ্য’ হয়েছিল অফস্পিনার গ্যারেথ ব্যাটির। 

    তবে ঠিক কিছুই করেননি, সেটা বলা অবশ্য ভুল। রশিদ ফিল্ডিং করেছেন, ভারত যে ৮২ ওভার ব্যাটিং করেছেন, তাতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৌড়াতে হয়েছে তাকে। 

    অথচ এই রশিদের দলে অন্তর্ভূক্তি নিয়ে কী বিতর্কটাই না হয়েছিল! এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটও নিয়েছিলেন। অথচ লর্ডসে রশিদ শুধুই দর্শক! 

    আসার জন্য ধন্যবাদ, রশিদ!