ছয় মেরে 'বাংলাদেশিদের তালিকায়' ঢুকলেন পান্ট
মুখোমুখি প্রথম বলে রান হলো না। পরের বলটাই বেরিয়ে এলেন ক্রিজ ছেড়ে, আদিল রশিদকে আছড়ে ফেললেন সীমানার ওপরে। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের দ্বিতীয় বলে কেউ ছয় দিয়ে এভাবে শুরু করবে, ভাবা যায়? তবে ভারতের ঋষভ পান্ট সেটাই করেছেন। আর এমন একটা তালিকায় বাংলাদেশীদের জয়জয়কার।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম স্কোরিং শট ছয়, এমন ক্রিকেটার খুব বেশি নেই। যারা আছেন, তাদের মধ্যে কেউই আবার এমন বিখ্যাত নন। তবে যে চার বাংলাদেশী এই তালিকায় আছেন, তাদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম ছাড়া বাকি সবাই বোলার।
শুরুটা করেছিলেন শফিউল, ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই শুরু করেছিলেন ছয় মেরে। সেই ৬ রান করেই অবশ্য শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গিয়েছিলেন। জহুরুল ইসলাম ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের প্রথম ইনিংসে আউট হয়ে গিয়েছিলেন শূন্য রানে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুই করেছিলেন ছয় মেরে। ৪৩ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত, মেরেছিলেন দুইটি ছয়।
আল আমিনের ব্যাপারটা অনেকটা জহুরুলের মতো, পার্থক্য হচ্ছে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসে শুন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। ওই টেস্টে আর ব্যাটই করতে পারেননি। পরের বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের প্রথম রান করলেন ছয় মেরে।
তবে কামরুল ইসলাম রাব্বি এঁদের সবার চেয়ে আলাদা। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। পরের ইনিংসেও ডাক, শেষ পর্যন্ত চতুর্থ ইনিংসে এসে টেস্ট অভিষেকে রান করলেন ছয় মেরে।
এই তালিকার শুরুটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার এরিক ফ্রিম্যানকে দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আছেন তিনজন, কার্লাইল বেস্ট, ডেল রিচার্ডস ও সর্বশেষ সুনীল আমব্রিস। জিম্বাবুয়ের আছেন কিথ দাবেংওয়া, নিউজিল্যান্ডের মার্ক ক্রেইগ ও শ্রীলঙ্কার দনঞ্জয়া ডি সিলভা। আর ভারতের হয়ে প্রথম কীর্তিটা করলেন পান্ট। এঁদের মধ্যে মার্ক ক্রেইগ আবার সবার চেয়ে আলাদা। টেস্ট অভিষেকের প্রথম মুখোমুখি বলেই ছয় মেরে শুরু করেছিলেন সাদা পোশাকের ক্যারিয়ার।