• সিরি আ
  • " />

     

    লাৎসিওকেও সহজেই হারাল জুভেন্টাস

    লাৎসিওকেও সহজেই হারাল জুভেন্টাস    

    মৌসুমে নিজেদের প্রথম ‘হোম’ ম্যাচ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও প্রথমবারের মতো নামবেন অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে। সব মিলিয়ে শুরু থেকেই আমেজটা উৎসবমুখর ছিল জুভেন্টাসের। আগের ম্যাচে ভালো খেলে গোলটাই কেবল পাননি, এবারও সেটাই হল। কিন্তু গত ম্যাচের মত এবারও জয় নিয়েই ফিরল তুরিনের বুড়িরা। লাৎসিওকে হারাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি জুভেন্টাসের। ২-০ গোলের জয় দিয়ে লিগে শতভাগ সাফল্য বজায় রেখেছে মাসসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির দল। 

    লিগে মৌসুমের প্রথম হোম ম্যাচে মূল একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছিলেন জুভেন্টাস কোচ। চমক ছিল পাউলো দিবালার না থাকা। একাদশে ছিলেন না, পুরো ম্যাচেও আর নামা হয়নি তার। আক্রমণে রোনালদোর সঙ্গী হিসেবে দিবালা-ডগলাস কস্তার জায়গায় নেমেছিলেন ফেদেরিকো বার্নাদেস্কি এবং মারিও মানজুকিচ। দলের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলারের অভাবটা বুঝতেই দেননি মানজুকিচরা। ম্যাচের শুরুতে জুভেন্টাসের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিলেন রোনালদোই। তবে বার্নাদেস্কির ক্রসে ‘সিআর৭’-এর হেড চলে যায় গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে।

    শুরুতেই জুভেন্টাসের আক্রমণজোয়ার সামলে উঠে লাৎসিও ভালো কিছুরও ইঙ্গিত দিচ্ছিল অবশ্য। ম্যাচের ১১ মিনিটে চিরো ইমোবিলের পাস থেকে সেনাদ লুলিচের শট জুভেন্টাস গোলরক্ষক ওয়েচেক শেজনি ফিরিয়ে না দিলে তখনই লিডটা নিয়ে নিত লাৎসিও। এরপর থেকেই মূলত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে তারা। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার সার্গে মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ, ইমোবিলেদের আটকাতে বেশ হিমশিমই খেতে হয়েছে বনুচ্চি-কিয়েলিনিদের। তবে থেমে থাকেনি তারা। বার্নাদেস্কি-রোনালদোরাও ফিরতে থাকেন স্বরূপে। ‘নতুন’ আক্রমণভাগের জোরেই প্রথমার্ধে সুফলটা পায় জুভেন্টাস। কিন্তু গোলটা আসলে মাঝমাঠের দুই খেলোয়াড়ই এনে দেন। ৩০ মিনিটে ব্লেইজ মাতুইদির পাসে ডিবক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে দলকে লিড এনে দেন মিরালেম পিয়ানিচ। এরপর থেকে আর জুভেন্টাসের সাথে পেরে উঠেনি লাৎসিও। তবে লাৎসিও গোলরক্ষক থমাস স্ট্রাকোশার দুর্দান্ত গোলকিপিংয়েই মূলত এক গোলের লিড নিয়েই খুশি থাকতে হয় তুরিনের বুড়িদের।

     

     

    প্রথমার্ধে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। লাৎসিও ডিবক্সে বল টাচই করেছিলেন মাত্র একবার। দ্বিতীয়ার্ধ বদলে যান, শুরু থেকেই স্বরূপে ফিরতে থাকেন রোনালদো। সাথে আক্রমণের ধারটা আরও বেড়ে যায় জুভেন্টাসের। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটা না পাওয়ায় ম্যাচে তখনও টিকেছিল লাৎসিও। প্রথমার্ধের মত তেমন আক্রমণ আর করা হয়ে উঠেনি তাদের। সমতায় ফেরার আশায় লুইজ আলবার্তোর জায়গায় নেমেছিলেন হোয়াকিন কোরেয়া। কিন্তু এরপরও ম্যাচে ফেরা হয়নি লাৎসিও-র।

    উলটো প্রতি আক্রমণেই জুভেন্টাসকে মনে হচ্ছিল ভয়ঙ্কর। মাঝমাঠে রড্রিগো বেন্টাঙ্কুর নামার পর মাঝমাঠের দখলটাও নিজের করে নেয় জুভেন্টাস। মাঝমাঠের দখল নিজেদের করে নেওয়ার পর মানজুকিচ-রোনালদোদের আক্রমণে সাহায্য করতে থাকেন পিয়ানিচরা। ৭১ মিনিটে আরেকটু হলেই রোনালদোর আগুনে শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলতে পারত জুভেন্টাস।  কিন্তু ডিবক্সের বাইরে থেকে পর্তুগিজের শট স্ট্রাকোশার দুর্দান্ত সেভে সে যাত্রায় বেঁচে যায় লাৎসিও। কিন্তু এজন্য অবশ্য বেশিক্ষণ আফসোসে পুড়তে হয়নি তাদের। ৭৫ মিনিটে হোয়াও ক্যান্সেলোর ক্রস স্ট্রাকোশার হাতে লাগলে গোলের সামান্য থেকে শট নিতে ব্যর্থ হন রোনালদো। তবে বল রোনালদোর গোড়ালিতে লেগে উঠে গেলে ফিরতি শট ঠিকই জালে পাঠান মানজুকিচ। আর সেই সাথেই নিশ্চিত হয় মৌসুমের প্রথম ‘হোম’ ম্যাচে জুভেন্টাসের জয়। সেই সাথে অক্ষুণ্ণ থাকল মানজুকিচ গোল করেছেন এমন ম্যাচে জুভেন্টাসের জয়ের রেকর্ড।