রেকর্ড ভাঙলে অ্যান্ডারসনকে আর কেউ টপকাতে পারবে না : ম্যাকগ্রা
৫৫৭। ৫৬৩। জেমস অ্যান্ডারসন ও গ্লেন ম্যাকগ্রার মধ্যে দূরত্ব এখন এতটুকুই। আর ৭ উইকেট নিলে ম্যাকগ্রাকে টপকে ইতিহাসের সেরা ফাস্ট বোলার হয়ে যাবেন অ্যান্ডারসন। ম্যাকগ্রা বলছেন, অ্যান্ডারসন তার রেকর্ড ভাঙলে তাকে আর কেউ টপকাতে পারবেন না। অ্যান্ডারসনের কাছে নিজের রেকর্ডটা হারিয়ে খুশিই হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি।
“রেকর্ড ভাল একটা ব্যাপার। টেস্ট ইতিহাসে যে কোনও ফাস্ট বোলারের চেয়ে বেশি উইকেট নেওয়াটা অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। তবে যে কোনও উচ্চতারই রেকর্ড হোক না কেন, সেটা ভাঙা হবে। এবং আমি জিমির কাছে রেকর্ডটা হারাতে পেরেও সমান গর্বিত হবো। ফাস্ট বোলার হিসেবে আমাদের ইউনিয়নে এক থাকতে হবে, যে দেশ থেকেই আসি না কেন”, বলেছেন ম্যাকগ্রা।
“এটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। সে এটা করার পরই আমি তাকে অভিনন্দন জানাব। জিমির প্রতি আমার অনেক বেশি সম্মান আছে। তার জন্য শুভকামনা। আমার বিশ্বাস, আমাকে কাটিয়ে গেলে তাকে আর কেউ টপকাতে পারবে না।”
২০০৭ সালে অবসরে যাওয়া ম্যাকগ্রা টেস্ট খেলেছেন ১২৪টি, গড় ২১.৬৪। অ্যান্ডারসন অবশ্য এরই মাঝে ম্যাকগ্রার চেয়ে ১৭টি টেস্ট বেশি খেলেছেন। গড়টাও বেশি তার, ২৬.৮৫। তবে অ্যান্ডারসনের ক্লাস নিয়ে সন্দেহ নেই ম্যাকগ্রার, “আমি আমার শেষ সিরিজে তার বিপক্ষে খেলেছিলাম, ২০০৬-০৭ সেশনে। তখন থেকে সবসময়ই বলে এসেছি, জিমি দারুণ বোলার। আমি খেয়াল করেছি, সে দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারে, চিরায়ত নিয়মেই। এটা সত্যিকারের একটা শিল্প।”
ভারতের বিপক্ষে এ সিরিজেই লর্ডসে নিজের শততম উইকেট পেয়েছেন অ্যান্ডারসন। ঘরের মাটিতে সুইং-সহায়ক কন্ডিশনে অ্যান্ডারসন সবার চেয়ে এগিয়েও বলে ধারণা ম্যাকগ্রার, “ডিউক বলে ঘরের মাটিতে জিমির তুলনা হয় না। তবে তাকে বিদেশের মাটিতে কুকাবুরায় বল করা শিখতে হয়েছে, যেটা ডিউকের মতো বোলিং-সহায়ক না সেভাবে।”
“এজন্য কিছু সময় লেগেছে তার, তবে সে এটা রপ্ত করেছে।”
“একবার আমাকে ছাড়িয়ে গেলে দারুণ একটা ব্যাপার হবে, সে এটাকে কতোদূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। এখন খেলার যা ধরন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যা চাপ, তাতে আমার বিশ্বাস, অ্যান্ডারসনকে আর কোনও ফাস্ট বোলার ছাড়িয়ে যেতে পারবে না।”
ম্যাকগ্রা ছাড়াও অ্যান্ডারসনের সামনে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট-সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন তিন স্পিনার- ৬১৯ উইকেট নিয়ে ভারতের অনিল কুম্বলে, ৭০৮ নিয়ে ম্যাকগ্রার সাবেক সতীর্থ শেন ওয়ার্ন ও ৮০০ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন। এদের মধ্যে কুম্বলেকে অ্যান্ডারসন ছাড়িয়ে যাবেন বলেও ধারণা ম্যাকগ্রার।