• ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    কারানের ব্যাটে সওয়ার ইংল্যান্ড

    কারানের ব্যাটে সওয়ার ইংল্যান্ড    

    চতুর্থ টেস্ট, এজিয়েস বোল
    প্রথম দিনশেষে 
    ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২৪৬ অল-আউট (কারান ৭৮, মইন ৪০, বুমরাহ ৩/৪৬, শর্মা ২/২৬)
    ভারত প্রথম ইনিংস ১৯/০*


     

    ট্রেন্টব্রিজ। ইংল্যান্ড ১ম ইনিংসে ১১০ রানে ৬ উইকেট থেকে ১৬১ রানে অল-আউট। এজিয়েস বোল। ইংল্যান্ড ১ম ইনিংসে ৮৬ রানে ৬ উইকেট থেকে অল-আউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান। এই বৈপরীত্যের মূল কৃতিত্বটা আটে নামা স্যাম কারানের ৭৮ রানের ইনিংসের। সেই কারান, যিনি এজবাস্টনে ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেও ট্রেন্টব্রিজে বাদ পড়েছিলেন বেন স্টোকসকে জায়গা করে দিতে। ভারতীয় পেসারদের তোপে পড়ে গুঁড়িয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের টপ ও মিডল অর্ডারের রেখে যাওয়া অক্সিজেনশূন্যতায় দাঁড়িয়েও ইংল্যান্ড শ্বাস নিতে পারছে তো কারানের অংশগ্রহণ থাকা দুটি জুটি- মইন আলির সঙ্গে ৮১ ও স্টুয়ার্ট ব্রডের ৬১ রানের কল্যাণেই।

    তবুও দিনশেষে এগিয়ে ভারতই, জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের নতুন বলে চার ওভারও মোটামুটি নির্বিঘ্নেই কাটিয়েছেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল। তবে দ্রুত কিছু উইকেট বদলে দিতে পারে ম্যাচের দৃশ্যপট- সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে আরেকটি রোমাঞ্চকর দিনই দেখেছে সাউদাম্পটন। 

    ট্রেন্টব্রিজের মতো এবারও টসে জিতেছেন জো রুট, এবার নিয়েছেন ব্যাটিং। তবে অ্যালেস্টার কুক ও কিটন জেনিংসের ওপেনিং জুটি ব্যর্থ আরেকবার। এরপর সে মিছিলে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক রুট নিজে, স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা জনি বেইরস্টো। জাসপ্রিত বুমরাহর হঠাৎ ভেতরে ঢোকা বলে আপাদমস্তক বোকা বনেছেন জেনিংস, আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ডের এ সিদ্ধান্ত দেখলে যে কারোরই মনে হবে- আম্পায়ারিং কতো সহজ কাজ! 

    ইশান্ত শর্মার ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি রুট, নষ্ট করেছেন প্রথম রিভিউটা। এর আগে ভারতের নেওয়া রিভিউয়ে অবশ্য আউট হতে পারতেন তিনি, তবে নো-বলের সঙ্গে বুমরাহর সখ্যতাটা আবার ফিরে আসায় সেটা হয়নি। সোজা হয়ে যাওয়া বুমরাহর বলে ব্যাট ছুঁয়ে মৃত্যু হয়েছে বেইরস্টোর, কাট করতে গিয়ে স্লিপে কোহলির দারুণ ক্যাচের শিকার কুক, দিনে হারদিক পান্ডিয়ার একমাত্র শিকার। 

    বেন স্টোকস ব্যাটিং করছিলেন ভালই, শামির ফুললেংথে লেট-সুইংয়ের আশায় থাকাটাই কাল হয়েছে তার। লেংথ মিস করে হয়েছেন এলবিডব্লিউ, রিভিউটাও নষ্ট করেছেন। এর আগেই আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা বাটলার শামির বাইরের বলে তাড়া করতে গিয়ে কোহলিকে দিয়েছেন ক্যাচ। 

    ৮৬ রানে ৬ উইকেট, সাউদাম্পটনে হাবুডুবু খাচ্ছিল ইংল্যান্ড। খড়কুটোর চেয়ে বেশি কিছু আনলেন কারান, সঙ্গে এ টেস্ট দিয়ে দলে ফেরা আরেকজন- মইন। চা-বিরতির আগে ঘন্টাখানেক সময় নিয়ে দুজন তুলেছেন ৫০ রান, আশ্বিনকে স্লগ করতে গিয়ে ছুটন্ত বুমরাহর ভাল ক্যাচে পরিণত হয়েছেন মইন। 

    বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে কারানকে ভাল সঙ্গ দিয়েছেন ব্রড। এজবাস্টনে আটে নেমে ৬৩ রান করে ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেছিলেন কারান, এবার করলেন ৭৮। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের দুর্দশার দিনে এ সিরিজে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এখন তারই। 

    রবি আশ্বিনকে ছয় মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করেছেন কারান, তাকেই স্লগ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হওয়ার আগে মেরেছেন ৮টি চারও। 

    ওভার-রেটে বেশ ধীরগতির ছিলেন কোহলি, সব মিলিয়ে দিনে খেলা হয়েছে ৮০ ওভারের একটু বেশি। শেষবেলায় ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেওয়ার মতো কিছু করতে পারেননি অ্যান্ডারসন-ব্রডরা। বরং ধাওয়ান-রাহুল নিশ্চিত করেছেন, রোমাঞ্চকর দিনে একটু হলেও এগিয়ে থাকছেন তারাই।