• সিরি আ
  • " />

     

    জোড়া গোলে রোনালদোর 'মুক্তি'

    জোড়া গোলে রোনালদোর 'মুক্তি'    

    তিন ম্যাচ, ২৭০ মিনিট, গোলে শট ২৭টি। চাপটা ক্রমশই বাড়ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ওপর। জুভেন্টাসের পাড়ি জমানোর পর গোল সোনার হরিণ হয়েছিল, নিজেকেও চেনাতে পারছিলেন না। আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছিল ‘রোনালদোর দিন শেষ’ গুঞ্জন। সাসুওলোর বিপক্ষে নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধ শেষে আবারও খালি হাতে ফেরাই ইঙ্গিত দিচ্ছিল রোনালদোকে। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের অনেক বারের মতো আরও একবার জবাব দিলেন মাঠে। রোনালদো স্বরূপে ফিরলেন আজ, ‘নিজ’ সমর্থকদের সামনে। আর তাতেই পুড়ল সাসুওলো। ‘সিআর৭’-এর জোড়া গোলে ২-১ গোলের জয়ে সিরি আ-তে টানা জয়ের রেকর্ডটা অক্ষুণ্ণ থাকল জুভেন্টাসের। সুসংহত হল শীর্ষস্থানটাও।

    নামের পাশে দুই গোল দেখালেও হ্যাটট্রিক বা চার গোলেরও দেখা পেতে পারতেন রোনালদো। কিন্তু পারেননি নিজের ভুলেই। ৭৮ মিনিটে গোলের মাত্র গজ দুয়েক দূর থেকে বাইরে পাঠিয়েছেন ডগলাস কস্তার ক্রস। এর মিনিট চারেক পর স্বদেশী হোয়াও ক্যান্সেলোর শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাসুওলো গোলরক্ষক কনসিগলি। ফিরতি বলে আশপাশে কোনো ডিফেন্ডার না থাকলেও জোরালো শট নিতে পারেননি। তবে এজন্য খুব একটা ভুগতে হয়নি জুভেন্টাসকে। গড়পড়তা এক প্রথমার্ধের পর জয়ের জন্য ফরোয়ার্ডদের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন ম্যাক্সিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। রোনালদো যেন সায় দিলেন তাতেই।

     

     

    ৪৯ মিনিটে কস্তার কর্ণারে শট নিলেন লিওনার্দো বনুচ্চি। সাসুওলো ডিফেন্ডারের ক্লিয়ারেন্স প্রতিহত হলো নিজেদেরই গোলের বারপোস্টে। গোলের একেবারে সামনে থেকে ডানপায়ের আলতো টোকায় ইতালিতে নিজের প্রথম গোল করলেন রোনালদো। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে শুরুতে গোলের দেখাই পাচ্ছিলেন না। গেটাফের বিপক্ষে নিজের ২৮তম প্রচেষ্টায় পেয়েছিলেন প্রথম গোল। কী আশ্চর্য! জুভেন্টাসের হয়েও নিজের সেই ২৮তম শটে পেয়ে গেলেন মৌসুমের প্রথম গোল। গোলের পর বুকে ক্রুশ এঁকে নিজের স্বভাবসুলভ উদযাপনে মাতিয়ে তুললেন সমগ্র জুভেন্টাস স্টেডিয়াম। এরপরের গল্পটা কেবলই রোনালদোময়। লিড নেওয়ার পর নিজেদের ‘ট্রেডমার্ক’ প্রেসিং ফুটবলে সাসুওলোকে চেপে ধরে জুভেন্টাস। পিছিয়ে পড়ে সাসুওলোও এগিয়ে আসে আক্রমণে। এই সুযোগে ৬৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে কস্তার পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রোনালদো। লিগ ফুটবলে ৪০০ গোলেরও মাইলফলক স্পর্শ করলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক।

    এই গোলের পর স্বভাবত চুপচাপ অ্যালেগ্রির বুনো উল্লাসই প্রমাণ করে, রোনালদোর গোলের জন্য ঠিক কতটা অপেক্ষা করেছিল জুভেন্টাস। রোনালদো গোল করলেন, হাসল জুভেন্টাস। অনেক পাওয়ার দিনের শেষটা ভালো হয়নি হয়নি জুভেন্টাসের। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বাবাকারের গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল সাসুওলো। কিন্তু ততক্ষণে দেরী হয়ে গেছে অনেক। শেষদিকে সাসুওলোর এক ফুটবলারকে থুথু মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন কস্তা। কিন্তু রোনালদো গোল পেয়েছেন, দল জিতেছে- আজ এরচেয়ে বেশি আর কীইবা পেতে চাইতেন অ্যালেগ্রি?