• সিরি আ
  • " />

     

    উদিনেসেকে হারিয়ে উড়ছে জুভেন্টাস

    উদিনেসেকে হারিয়ে উড়ছে জুভেন্টাস    

    প্রথমার্ধই খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। জুভেন্টাস ২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর উদিনেসের সামনে কাজটা ছিল প্রায় অসম্ভব। ওই দুই গোলই যথেষ্ট হয়েছে, জুভেন্টাসকে খুব বেশি কষ্টও করতে হয়নি জয় পেতে। কিন্তু সিরি আতে টানা ৮ ম্যাচ জিতে রেকর্ড করে ফেলেছে জুভেন্টাস। ইতালিয়ান লিগে এমন কিছু ঘটল মাত্র ছয়বার। জুভেন্টাসই আরও তিনবার করেছিল এই রেকর্ড, এক যুগ পর সেটাই আবার ছুঁয়ে দিল মাসসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল।

    মাঠের বাইরে ঝামেলা নিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো শিরোনাম হয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে। ধর্ষণের কথা অবশ্য পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তিনি। নাইকির সঙ্গে চুক্তি নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে এসব ঝামেলা মাঠে নামার সময় পেছনে ফেলেই এসেছেন তিনি। দলে ফিরে উদিনেসের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলে দলের জয়ে বড় অবদান তার। গোল করেছেন একটা, তবে ভাগ্য ভালো থাকলে সংখ্যাটা আরও বাড়তেই পারত। 



    ৬ মিনিটে জুভেন্টাসের প্রথম আক্রমণটা করেছিলেন রোনালদোই। ডিবক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট অবশ্য ডিফ্লেক্টেড হয়ে অল্পের জন্য চলে যায়  বারপোস্টের ওপর দিয়ে। তখনই বার্তাটা দিয়ে রেখেছিল জুভেন্টাস। তবে ম্যাচের আধ ঘন্টারও বেশিকিছু সময় গোলশূন্যই ছিল তুরিনের বুড়িরা। ৩৩ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন রদ্রিগো বেন্টাকুর। আক্রমণটা শুরু করেছিলেন পাউলো দিবালা। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাইট উইংয়ে পাস দিয়েছিলেন তিনি। রাইটব্যাক হুয়াও ক্যান্সেলোর নিখুঁত ক্রসে এরপর হেড করে গোল করেন উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার। প্রথম গোলের দুই মিনিটের মধ্যেই ব্যবধানটা দ্বিগুণ হয়ে যেত জুভেন্টাসের। মারিও মাঞ্জুকিচের ৬ গজ দূর থেকে নেওয়া শট অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়ে সেটা আর হতে দেননি উদিনেসে গোলরক্ষক সিমন স্কাফেট। 

    অবশ্য তাতে জুভেন্টাসের হাহাকার বাড়েনি। ৩৭ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করেন রোনালদো। মাঞ্জুকিচ পাস দিয়েছিলেন ডিবক্সের ভেতর থেকেই। এরপরও অনেক কাজ বাকি ছিল। রোনালদো প্রথম সুযোগেই বাম পায়ের কোণাকুণি শটে গোল করে কঠিন কাজটাই সহজ বানিয়ে দিলেন। জুভেন্টাসের আক্রমণের তোড়ে অবশ্য উদিনেসেও একবার বারপোস্টে আঘাত আনে। ২৫ গজ দূর থেকে শট করেছিলেন বারাক, সেজনিকে হার মানালেও বারপোস্ট বাধা পেরুতে পারেননি, তাই প্রথমার্ধের আগে লাইফলাইন গোলটাও পাওয়া হয়নি উদিনেসের। অবশ্য বিরতির পর আরও একবার ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে না লাগানোয় উদিনেসে কেবল নিজেদেরই দুষতে পারে। ৫০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বলে গোল করতে পারতেন লাসানিয়া, ট্রউস্ট দুইজনই। কিন্তু একজনও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। অ্যালেক্স সান্দ্রো সেই দফায় বিপদমুক্ত করেছেন দলকে।

    এরপর জুভেন্টাসও আর কোনো সুযোগ দেয়নি উদিনেসেকে। কিন্তু নিজেরাও আর ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি। ৫৪ মিনিটে দিবালা ডান প্রান্ত দিয়ে কাটিয়ে ডিবক্সের ভেতর ঢুকে পড়েও বাজে শট করে সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। পরে ফ্রেডেরিকো বার্নাদেস্কির বুলেট শটও আরেকবার ঠেকিয়েছেন উদিনেসের গোলরক্ষক। পরে বার্নাদেস্কির বানিয়ে দেওয়া সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি মাঞ্জুকিচ। তাই দুই গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে জুভেন্টাসকে।