• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    প্লাজেনে রিয়ালের গোল উৎসব

    প্লাজেনে রিয়ালের গোল উৎসব    

    মাত্র কয়েকদিন আগেই গোলখরায় লম্বটা একটা সময় কাটিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ঝড়-ঝঞ্চা বয়ে গেছে অনেক। নতুন কোচ সান্তিয়াগো সোলারির অধীনে লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও সমর্থকদের স্বস্তি দিতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিক্টোরিয়া প্লাজেনের বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়টা সেই স্বস্তি দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। অথচ এই দলকে দুই সপ্তাহ আগে ঘরের মাঠে হারাতে বেগ পেতে হয়েছিল রিয়ালকে। সেই হিসাবে এই জয়কে নতুন দিনের শুরু হিসেবেও দেখতে পারেন রিয়াল সমর্থকেরা। সোলারিও স্থায়ী চুক্তির দাবি করতে পারেন সেটাকে পুঁজি করেই।




    কয়েকদিন আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যে দলটা দাপট দেখিয়েছিল তারাই নিজেদের মাঠে অসহায় ছিল শুরু থেকেই। প্রথমার্ধেই ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। চেক প্রজাতন্ত্রে রিয়ালের গোল উৎসবের শুরু করিম বেনজেমাকে দিয়ে। ২১ মিনিটে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডিবক্সের ভেতর থেকে দারুণ এক গোল করেন বেনজেমা। তাতে পূরণ হয় রিয়ালের জার্সিতে বেনজেমার ২০০ তম গোলের মাইলফলক। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে অন্তত ২০০ গোল করা সপ্তম খেলোয়াড় বেনজেমা।

    সেই গোলের রেশ না কাটতেই দুই মিনিট ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন কাসেমিরো। কর্নার থেকে হেডে গোল করেন তিনি। ৩৭ মিনিটে গ্যারেথ বেলের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটাও পেয়ে যান বেনজেমা। ৩ মিনিট পর যেন সেই ঋণটাই শোধ করেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। বেলকে এবার পাস বাড়ান তিনি, বাম পায়ের শটে দূরের পোস্টে বল জড়িয়ে গোল করেন ওয়েলশম্যান।

    প্রথমার্ধের দাপুটে রিয়াল অবশ্য এরপর আর সেই তুলনায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ৬২ মিনিটে মাঠে নামা ভিনিসিয়াস জুনিয়র আবারও রিয়ালের গোলে অবদান রেখেছেন। টনি ক্রুসের করা শেষ গোলের অ্যাসিস্ট তারই। ৬৭ মিনিটে ক্রুসের ওই গোলের পর অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদ আর গোল করতে পারেনি। 

    নতুন কোচের অধীনে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সোলারি রেকর্ড গড়েছেন অন্য জায়গায়। রিয়ালের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ম্যানেজার হিসেবে তিনি প্রথম তিন ম্যাচ জিতেছেন কোনো গোল হজম না করেই। ১৯৫৭ সালে সোলারির স্বদেশী লুইস কার্নিলিয়াও করেছিলেন একই কীর্তি।