• ইউয়েফা নেশনস লিগ
  • " />

     

    ফ্রান্সকে হারিয়ে জার্মানিকে রেলিগেশনে পাঠাল নেদারল্যান্ডস

    ফ্রান্সকে হারিয়ে জার্মানিকে রেলিগেশনে পাঠাল নেদারল্যান্ডস    

    রেলিগেশন ঠেকানো নিজেদের হাতে ছিল না জার্মানির। নেদারল্যান্ডস-ফ্রান্সের ম্যাচে ফলের ওপর ভাগ্য ঝুলে ছিল তাদের। ফেইনুর্দে নেদারল্যান্ডস দেখাল চমক, বিশ্বজয়ী ফ্রান্সকে মাটিতে নামিয়ে এনে হারিয়ে দিল ২-০ গোলে। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে ইউয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপ এ১ থেকে জার্মানির রেলিগেশন। নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে ফ্রান্সও পড়ে গেছে বিপদে, নেশনস লিগের ফাইনাল রাউন্ডে যাওয়ার জন্য এখন ফ্রান্সকে তাকিয়ে থাকতে হবে জার্মানির দিকে। এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে জার্মানিকে হারাতে পারলে শীর্ষ অবস্থানে থেকে ফাইনালে চলে যাবে নেদারল্যান্ডস।

    অথচ রাশিয়া বিশ্বকাপে বাছাই করতে না পারা নেদারল্যান্ডসকে গোণার বাইরেই রাখা হয়েছিল ইউয়েফার নতুন এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে। রোনাল্ড কোমেনের দল বিশ্বকাপের পর থেকেই অবশ্য নতুন দিনের ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছিল। সেটাই হুঙ্কারেই পরিণত হল ফ্রান্সকে হারিয়ে। মার্চের পর প্রথমবারের মতো হারের মুখ দেখেছে ফ্রান্স। আর বিশ্বকাপ থেকে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া জার্মানির দুর্দশা তাতে বেড়েছে আরও।




    পল পগবা, স্যামুয়েল উমতিতিরা ফ্রান্স দলে ছিলেন না ইনজুরির কারণে। দিদিয়ের দেশমের একাদশে তাই জায়গা হয়েছিল স্টিভেন এনজঞ্জি, আর কিমপেম্বেদের। প্রথমার্ধ শেষ ঠিক আগে, এনজঞ্জির ভুলেই গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স। নিজেদের ডিবক্সের ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি এনজঞ্জি। পরে রায়ানার বাবেলের শট অবশ্য ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন হুগো লরিস। তবে রিবাউন্ডে আর রক্ষা হয়নি। জর্জিও ওয়াইনাল্ডাম দশ গজ দূর থেকে গোল করে এগিয়ে নেন ঘরের দলকে।  

    ডাচদের তুলনায় এমবাপ্পে, গ্রিযমানরা কিছুটা সাদামাটাই ছিলেন। তবে বেঞ্জামিন পাভার্দ বিশ্বকাপের স্মৃতিটা প্রায় আরেকবার পুনঃমঞ্চায়ন করতে বসেছিলেন প্রথমার্ধে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় ভলিতে করা গোলের মতোই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও একটি শট করেছিলেন ফ্রেঞ্চ রাইটব্যাক। বার্সেলোনা গোলরক্ষক জ্যাস্পার সিলেসেনের দুর্দান্ত এক  সেভ আর এগিয়ে যেতে দেয়নি ফ্রান্সকে।

    ডাচরা এগিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য অন্যপ্রান্তের গোলরক্ষককেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে বেশি। পুরো ম্যাচে মোট ৯টি সেভ করতে হয়েছে লরিসকে। গত ১০ বছরে ফ্রান্সের কোনো গোলরক্ষক এক ম্যাচে এতোগুলো গোল ঠেকাননি। লরিসের ৯টি সেভ করা একটি রেকর্ডেও পরিণত হয়েছে তাই। কিন্তু অধিনায়কের রেকর্ডের রাতে ফ্রান্সের সঙ্গী হয়নি সুখস্মৃতি। অ্যাডিশনাল টাইমের ৫ মিনিটে মুসা সিসোকো ডিবক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ফ্রাঙ্ক ডি জংকে। সেখান থেকেই পেনাল্টি কিক নেন মেম্ফিস ডিপাই। এর আগে দ্বিতীয়ার্ধেই দুইবার তিনি গোলবঞ্চিত হয়েছিলেন লরিসের কাছে। পানেনকা মেরে এবার আর সুযোগই দিলেন না লরিসকে। সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের নতুন দিনের আগমনী বার্তাটাও হয়ত জানিয়ে রাখলেন তিনি।